শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৫৫:০০

অবশেষে পাওয়া গেছে শাবানাকে, তারপর যা ঘটলো

অবশেষে পাওয়া গেছে শাবানাকে, তারপর যা ঘটলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার মিনিট খানেক পড়েই নিজের মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করেছিলেন শাবানা বানু। কলুটোলার শাবানা বানু আটকে পড়েছিলেন ব্রিজের ভাঙা অংশের নিচে। ফোনে বলেছিলেন সেই আতঙ্কের কথা।

জানিয়েছিলেন, প্রচণ্ড গরম লাগছে। আজ সকালেই কলুটোলার শাবানা বানুকে নিয়ে আসা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখানে আনার পর মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকে।

বাড়ির পরিজনের দাবি, আরও আগে ব্যবস্থা নিলে শাবানাকে বাঁচানো যেত। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলার ফলেই ব্রিজের ওই অংশে লাগুন লাগে। অথবা কোনও গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন ধরেই তার দেহ ঝলসে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে শাবানার দেহ পাওয়া যায়, সেখানে জল দেওয়া হয়েছিল। সেই জলের ফলেই তার দেহ বিকৃত হয় বলে মনে করা হচ্ছে। শাবানাকে বেশ কয়েকবার ফোনও করেন বাড়ির লোক। তারা দুর্ঘটনাস্থলেও ছুটে আসেন। তবে আর কোনও হদিশ মেলেনি৷ ১৮ ঘণ্টা পর তাঁর হদিশ মিলল৷ তবে তাঁর দেহে তখন প্রাণ নেই।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আটজন, ও মারোয়াড়ি হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যেই সেনাবাহিনীর ফোর্থ ব্যাটালিয়নের জওয়ান রসিক হেমব্রম ডিউটি করতে গিয়ে জখম হন। তাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৬ জন ভর্তি রয়েছেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারে একজন। সেখানে ১৬ জনকে আনা হয়। এন আর এস, আর জি কর হাসপাতালেও কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। নীলরতন সরকার হাসপাতালে জখম তিনজনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে দু'জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে