 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আবারো মুসলিম ছাত্রকে নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন এক স্কুল শিক্ষক। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ১২ বছরের এক মুসলিম ছাত্রকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রের নাম ওয়ালিদ আবু শাবান। টেক্সাসের ফার্স্ট কলোনি মিডল স্কুলের সপ্তম শ্রেণি ছাত্র।
ওয়ালিদ আবু শাবান জানান, শিক্ষকের ওই মন্তব্যের পর থেকে তার সহপাঠিরা তাকে ‘বোমা’ বলে ডাকছে। এছাড়াও তাকে নিয়ে সহপাঠিরা নানা ধরণের বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করছে।
ঘটনার বর্ণনায় ওয়ালিদ বলছে, ‘আমরা ক্লাসে একটি সিনেমা দেখছিলাম। এটা দেখে আমি হেসে উঠলাম। শিক্ষক আমাকে বললেন, তোমার জায়গায় আমি হলে হাসতাম না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন। তিনি বললেন, কারণ আমরা সবাই মনে করি, তুমি একটা সন্ত্রাসী।’
ঘটনার পর থেকে অন্যরা তাকে ‘বোমা’ বলে আখ্যায়িত করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়ালিদ। তাকে নিয়ে নানা উপহাস আর বিদ্রুপ করছে সহপাঠিরা।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক।
ওয়ালিদের বাবা বলেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণেই আমার ছেলে সন্ত্রাসী হতে পারে না। সে অন্যদের মতোই একজন আমেরিকান। সে এখানেই জন্মেছে।’
ঘটনার পরে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ওই শিক্ষকের কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন না। ধর্মীয় কারণে কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যেতে পারে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করার পর তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে টেক্সাসে আহমেদ মোহাম্মদ নামের এক শিক্ষার্থী নিজের তৈরি একটি ঘড়ি বন্ধুদের দেখাতে স্কুলে আনলে তা বোমা সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেয় তার শিক্ষক। এর কিছুক্ষণ পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাতে মোহাম্মদকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ স্কুল থেকে নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ মুসলিম হওয়ার কারণেই তার প্রতি এমন আচরণ করা হয়েছে বলে তখন দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠনগুলো। মোহাম্মদের প্রতি এ আচরণ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। পরে তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এছাড়া ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও তাকে ফেসবুক সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
০৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস