মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:০৯:৫৪

সত্যি কি খ্যাপা কিম সেনা অভ্যুত্থানে নিহত?

সত্যি কি খ্যাপা কিম সেনা অভ্যুত্থানে নিহত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষ্যামা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বছরখানেক আগে নিজের সেনাপ্রধানকেই গোলার মুখে উড়িয়ে দিয়েছিলেন হাই তোলার 'অপরাধ'-এ, উত্তর কোরিয়ার সেই একনায়ক ক্ষ্যাপা কিম জং উন নাকি এবার সেনার হাতেই প্রাণ হারিয়েছে!

সোমবার থেকে এমন একটি খবর ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেহেতু বাকি বিশ্বের টেলিসংযোগ বিচ্ছিন্ন, তাই খবরের সত্যতা দ্রুত যাচাই করাও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার সুযোগেই ভাইরাল হয় কিম মৃত্যুর গুজব। পরে যদিও জানা যায়, উত্তর কোরিয়ায় কিম জং-এর বিরুদ্ধে সেনা বিদ্রোহের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই কোনও মহল থেকে এই খবর ছড়ানো হয়েছে।

কোরিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে কোট করে এক ট্যুইট ছড়ায়, স্বৈরাচারী একনায়ক কিম জং উন সম্ভবত সেনাঅভ্যুত্থানে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন এমন একটি সম্ভাবনার খবরও ছড়ায়।

এই রিউমারকে সত্যি হিসেবে ধরে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা প্রতিক্রিয়া দেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কিম মৃত্যুর প্রভাব পড়বে। পরে, অবশ্য জানা যায় খবরটির ভিত্তি নেই।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বারবার পরমাণু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোয়, আমেরিকার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে উত্তর কোরিয়ার এই একনায়কের। কিমকে চাপে রাখতে, দক্ষিণ কোরিয়াকে নানা ভাবে সহযোগিতা করছে হোয়াইট হাউস। যে কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক কিমের। উঠতে বসতে দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দেন এই একনায়ক।

আন্তর্জাতিক নিয়মের তোয়াক্কা না-করায় ২০০৮ থেকেই বয়কটের মুখে বামপন্থী এই দেশটি। তিন প্রজন্ম ধরে ডিক্টেটরশিপ চলছে। ২০১১-য় বাবার হাত থেকে ক্ষমতা নেন কিম। এর পর একের পর এক মৃত্যুদণ্ড। লঘু পাপে কী করে গুরু দণ্ড দিতে হয়, কিমের চেয়ে ভালো কেউ জানেন না। শুধু সেনাপ্রধানই নন, নিজের কাকাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এই শাসক। সূত্র : ইন্ডিয়াটাইমস
৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে