আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় উপমহাদেশে উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তান সরাসরি কথা বলুক– মন্তব্য মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের৷ এই বিবৃতির কিছু আগেই পাকিস্তান জানিয়েছে, আপাতত তারা ভারতের সঙ্গে কোনো রকম শান্তি আলোচনায় যাবে না৷
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় থাকলে দুই দেশই উপকৃত হবে৷ নিজেদের স্বার্থেই এই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠা দরকার৷ উত্তেজনা হ্রাস করতে দু'দেশের উচিত সরাসরি কথা বলা৷ আমরা মনে করি, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার চিত্র বদলে যাবে৷ ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থায়িত্ব ফিরে আসবে৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে দুই দেশ যে উদ্যোগ নেবে আমরা তা সমর্থন করব৷"
উল্লেখ্য, ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুল বাসিত বলেছেন, "আপাতত ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে৷" টোনার জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না৷ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করতে হবে৷ অন্যদিকে শুক্রবার এনআইএ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার, তার ভাই আবদুল রউফ ও আরো দুই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল৷
পাকিস্তান মুখ ঘুরিয়ে নিলেও আলোচনার রাস্তা এখনই বন্ধ হয়ে গেল বলে মানতে নারাজ ভারত৷ নয়াদিল্লির দাবি, পাক হাই কমিশনারের পক্ষ থেকে থেকে যা-ই বলা হোক, ইসলামাবাদের বক্তব্যকেই সরকারি অবস্থান হিসাবে মানা হবে৷ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, "আমরা পাকিস্তানের হাই কমিশনারের বয়ান দেখেছি৷ এটি পাক হাই কমিশনার আব্দুল বাসিতের নিজস্ব মত৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কথা সম্পূর্ণ আলাদা৷ দুই দেশই পারস্পরিক যোগাযোগ রেখে চলেছে৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতে, বিদেশ সচিব পর্যায়ের আলোচনার জন্য খসড়া তৈরির কাজ চলছে৷ দুই দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের আলোচনা শুরু হওয়ার এটাই যথেষ্ট উপযুক্ত সময়৷" যদিও পাঠানকোট হামলার তদন্তের জন্য পাক যুগ্ম তদন্তকারী দলকে (জেআইটি) ভারতের মাটিতে পা রাখার আগে মেনে নিতে হয়েছিল ভারতের শর্ত৷-সংবাদ প্রতিদিন
৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই