সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:১৭:২৪

সেই বাঘিনী কন্যাকে অবশেষে গিলে খেল বাঘে!

সেই বাঘিনী কন্যাকে অবশেষে গিলে খেল বাঘে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে বাঘের শিকার হলেন সেই ‘টাইগার হুইশপারার’! যার কিনা বাঘের সাথে ছিল অনেক ভালো রকমের দোস্তী। বাঘকে গোসল করানো খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো থেকে শুরু করে সব কিছুই করিয়ে দিতেন তিনি। বাঘের সাথে তার এমন বন্ধুত্বের কারণে তার সহকর্মী এবং বন্ধুরা তাকে ‘টাইগার হুইশপারার’ বলেই ডাকতো। আর তাকেই কিনা গিলে খেলো সেই বাঘে! দুঃখজনক হলেও এমন সত্য ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ফ্লোরিডার পাম বিচ চিড়িয়াখানায়।

সহকর্মীদের দেয়া ‘টাইগার হুইশপারার’ নামটা সার্থকই বলা যায়। বাঘের সঙ্গে তার মেলামেশা খানিকটা সেরকমই ছিল। যেখানে বাঘের ত্রিসীমানায় যেতেই বুক কাঁপত চিড়িয়াখানার অন্য সব কর্মীদের, সেখানে স্ট্যাসি কনওয়াইসার অনায়াসেই বাঘের খাঁচায় কাটাতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেই বাঘগুলোকে তিনি নিজ হাতে খাওয়াতেন এবং আদর করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বাঘের হামলাতেই মৃত্যু হলো তার।

অনেক দিন থেকেই আমেরিকার ফ্লোরিডার পাম বিচ চিড়িয়াখানায় বাঘেদের রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন এই সাহসী নারী। ১৬ এপ্রিল শনিবারও বাঘদের খাওয়াতে খাঁচার মধ্যে ঢুকেছিলেন তিনি। সেখানেই তার ওপর হামলা চালায় একটি মালয়ান বাঘ। স্ট্যাসিকে বাঁচাতে বাঘটিকে লক্ষ করে চিড়িয়াখানার কর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়লেও, দাঁত ও নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত স্ট্যাসিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বাঘপ্রেমী এই নারীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা আমেরিকার ফ্লোরিডা শহরে। কারণ বাঘেদের সত্যিই খুব ভালোবাসতেন স্ট্যাসি, তা শহরের সবাই একথা জানতো। পাম বিচ চিড়িয়াখানার মুখপাত্র নাকি কার্টারের কথায়, ‘পশুদের খুব ভালো না বাসলে, এই কাজ করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ হিংস্র পশুদের মধ্যে থাকা মানে প্রতি মুহূর্তেই বিপদ। স্ট্যাসি যে কী পরিমাণ বাঘদের ভালোবাসতেন, তা বলে বোঝানো যাবে না। পশুরাও তাকে অনেক কাছে টেনে নিত।’
১৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে