আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রবিনসনকাণ্ডে ছায়া এবার যাদবপুরে। রবিনসন স্ট্রিটে দিদির কঙ্কাল আগলে রেখেছিলেন ভাই। যাদবপুরে মেয়ের দেহ আগলে রাখলেন মা। যাদবপুরের রিজেন্ট কলোনির একটি আবাসনে মেয়ে সংবৃতা চক্রবর্তীকে নিয়ে থাকতেন সুজাতা চক্রবর্তী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে সুজাতা চক্রবর্তী নিজেই ওই আবাসনের বাসিন্দাদের জানান, তাঁর মেয়েকে ডেকেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। এরপরই পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যাদবপুর থানার পুলিশ গিয়ে সংবৃতা চক্রবর্তীর পচগলা দেহ উদ্ধার করে।
কিন্তু, কীভাবে মারা গেলেন বছর একুশের সংবৃতা? মৃত্যুর তাঁর দেহ কেনই বা ঘরে রেখে দেওয়া হল? উত্তর মেলেনি। মৃতার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে কোমরে ব্যথার জন্য শুয়ে থাকত। আজ সকালে ডাকতে গিয়ে দেখেন চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, পাড়ার কারো সঙ্গে মিশতেন না মা ও মেয়ে। সব সময়ই তাদের ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকত। সুজাতা চক্রবর্তীর স্বামী খোঁজ নেই। তাঁর আরও এক মেয়ে আছে। তাঁর বিয়ে হয়ে গেছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ।
গত বছরের জুলাই মাসে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে দে-বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বাড়ির মেয়ে দেবযানী ও তাঁর দুই পোষ্যের কঙ্কাল। প্রায় ছয়মাস ধরে দিদির দেহ আগলে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে।
২০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস