আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। মার্কিন রক্তচক্ষুর উপেক্ষা করে দেশ শাসন করেছেন, কখনো পিছ পা হননি। বহু দিন শাসন করেছেন কিউবা। তাকে লৌহমানব বলা হয়ে থাকে। তিনি হচ্ছেন দেশটির সাবেক বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। সম্প্রতি তিনি কিউবার কংগ্রেসে ভাষণ দেদন। এটিই সম্ভবত তার জীবনের শেষ ভাষণ। এতে তিনি সমবেত রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি শিগগিরই মারা যাবেন। তবে তার বিপ্লবী চিন্তাধারা বেঁচে থাকবে।
পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টির এই সম্মেলনে তার ভাই রাউল কাস্ত্রো (৮৪) দলের প্রধান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে থেকে অবসরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ৮৯ বছর বয়সী ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব নেয়ার।
বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত ফিদেল কাস্ত্রোর এ ঘোষণা বস্তুত মৃত্যুর অমোঘ নিয়মকে মেনে নেয়ার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কাস্ত্রো বলেন, ‘সহসাই আমার বয়স হবে ৯০ বছর। সহসাই আমার অবস্থাও অন্যদের মতই হবে।’
ফিদের কাস্ত্রো নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানালেও প্রবীণ কমিউনিস্টরাই এখনো একদলীয় শাসিত দেশটির দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন।
তবে গত সপ্তাহে রাউল কাস্ত্রো কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন যে এখন থেকে ৭০ বছর বয়সে নেতাদের অবসরে যেতে হবে।
হাভানা হলে তুমুল করতালির মধ্যে ফিদেল কাস্ত্রো ঘোষণা দেন, ২০২১ সালে যখন কংগ্রেসের পরবর্তী সভা হবে তখন নতুন নেতৃত্ব আসবে। এই সপ্তম কংগ্রেসই হবে ঐতিহাসিক প্রজন্মের শেষ সভা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার জীবনেই এমন সময় আসবে। কিন্তু কিউবার কমিউনিস্টরা যদি উৎসাহ ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করে তবে তারা মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কৃতি ও পণ্য তৈরি করতে পারবে এবং এটা করার জন্য আমাদের বিরামহীন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
৫৫ বছর আগে ফিদেল কাস্ত্রো কিউবায় কমিউনিস্ট বিপ্লব ঘোষণা করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেন। তবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেই বিপ্লব অতীত। তারা দেখছে, মাসে মাত্র ২৫ ডলার বা ২০০০ টাকা আয় দিয়ে তাদের জীবন চলছে না।
২০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস