আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডান্স বারের অনুমোদন না দেয়া নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হলো মহারাষ্ট্র সরকারকে। শীর্ষ আদালত বার ডান্সের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে।
তারপরও বিধানসভায় নতুন আইন পাস করিয়ে ডান্স বারকে কার্যত নিষেধাজ্ঞার আওতাতেই রেখে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আজ সোমবার মহারাষ্ট্র সরকারকে রীতিমতো কড়া সুরে সতর্ক করল আদালত।
সুপ্রিমকোর্টের স্পষ্ট কথা, নাচ একটা পেশা। এটা অশ্লীল হলে তবেই আইনি বৈধতা হারায়। রাস্তায় ভিক্ষা করে খাওয়ার চেয়ে অন্য কোনো অনভিপ্রেত কাজের তুলনায় বারে নাচা মহিলাদের পক্ষে ভালো।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ডান্স বারের অনুমতি না দেয়া নিয়েও সুপ্রিমকোর্টের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মহারাষ্ট্র সরকারকে।
গত ১২ এপ্রিল মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ডান্স বার নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন পাস হয়। এ আইন অনুযায়ী, বারে কোনো মহিলা কর্মীর হেনস্থা হলে বা কোনো ধরনের অশ্লীলতা ঘটলে তার পুরো দায় নিতে হবে মালিককে।
এসব ক্ষেত্রে মালিকের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার শাস্তিও ধার্য হয়েছে। নতুন আইনে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ডান্স বারের লাইসেন্স পাওয়া যাবে না।
বারে নাচের প্রদর্শন চলতে পারবে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এমনকি বারের যে অংশে নাচের প্রদর্শন হবে, সেখানে পানীয় পরিবেশনও করা যাবে না। কোনো আবাসনে দেয়া হবে না বার খোলার অনুমতি।
সেমি- রেসিডেন্সিয়াল ক্ষেত্রেও তিন চতুর্থাংশ আবাসিকের অনুমতি পেলে তবেই দেয়া হবে লাইসেন্স। বার মালিকদের অভিযোগ, এ আইন করে কার্যত নিষেধাজ্ঞাই জারি করে রাখা হলো ডান্স বারের ওপর। তাছাড়া বারে বসে কেউ কোনো বেআইনি বা অশ্লীল কাজ করলে তার শাস্তি কেন মালিকপক্ষকেও পেতে হবে সেই প্রশ্নও উঠেছিল।
কিন্তু বার বিরোধীরা এতেও খুশি হননি। ডান্স বারে পরিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। এ মামলারই শুনানি ছিল আজ। সেই শুনানিতেই কড়া মনোভাব প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ সত্বেও কেন ডান্স বারের লাইসেন্স আটকানো হচ্ছে, সাতদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে তারও জবাব চাওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত কড়াকড়ি নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারেরও। -আনন্দবাজার
২৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম