আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংসদে নিয়মিত হাজিরা থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে ছাড় দিয়েছিলেন ‘মমতা’! তাই বলে রাজ্যসভার অন্যরাও এ ছাড় দিবেন! না, অনেক সাংসদই এখন আর ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীকে ছাড় দিতে রাজি নন। তৃণমূল সাংসদ এই কেন ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত, তা নিয়ে কাল প্রশ্ন তুলেছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে গত কয়েকমাস ধরে সংসদে গরহাজির মিঠুন। কারণ, অসুস্থতা! রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন পি জে কুরিয়েন আজ মিঠুনের ছুটির আবেদন পড়ে শোনান এবং বলেন, ‘শারীরিক কারণে তিনি (মিঠুন) চলতি অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’
এরপরই এসপি সাংসদ নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘প্রতিটি অধিবেশনেই মিঠুন চক্রবর্তী চিঠি পাঠিয়ে জানান, তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কেউ অসুস্থ হতেই পারেন, কিন্তু প্রত্যেক অধিবেশনেই যদি এরকম চলতে থাকে, তাহলে তা সুযোগের অপব্যবহার।’
নরেশের বক্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘মিঠুন বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ এবং তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ছুটি মঞ্জুর করা হোক।’
মিঠুনের আবেদনের বিরোধিতা করেন জেডি (ইউ) সাংসদ কে সি ত্যাগীও। তার কথায়, ‘নিজের কাজে ব্যস্ততার জন্য সংসদে অনুপস্থিত থাকা সংসদের অপমান। একজন সাংসদ সংসদে না এসে বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন— এটা আটকানোর জন্যেও আচরণবিধি চালু হওয়া উচিত।’
যদিও মিঠুনের ছুটি অনুমোদন করে কুরিয়েন বলেন, ‘একজন সাংসদ যখন অসুস্থতার কথা বলছেন, তখন আমরা তা অবিশ্বাস করতে পারি না। অন্য কিছু প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেব।’
২০১৪ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সেখানে মিঠুনের হাজিরা ১০ শতাংশ। কোনও বিতর্কে তিনি অংশ নেননি এবং একটি প্রশ্নও করেননি। বস্তুত সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর থেকে ‘বীতশ্রদ্ধ’ মিঠুন রাজনীতি সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়েছেন বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের খবর।
সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে তৃণমূলের এক সাংসদ মিঠুনকে ফোন করে অধিবেশনে যোগ দিতে বলেছিলেন। মিঠুন তাঁকে সটান বলে দেন, তাঁকে পীড়াপিড়ি করা হলে তিনি তৃণমূল ছাড়তে দ্বিধা করবেন না।
২৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন