আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃষ্টি নেই। চলছে খরা। চারিদিকে পানির জন্য হাহাকার। ভারতের ওড়িষ্যা থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র কিংবা তেলাঙ্গানাসহ বিভিন্ন প্রান্তেরই তাপমাত্রা যেন লাগামহীন পাগলা ঘোড়া। এরমধ্যে প্রচণ্ড দাবদাহ আর পানির অভাবে ইতিমধ্যে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তেলেঙ্গানায়। যার মধ্যে মেদক থেকেই ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
তেলাঙ্গানায় যেমন ভয়াবহ তাপের জেরে একের পর এক মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন, তেমনি মহারাষ্ট্রে খরার জেরে ৩৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিড়, নানদেড়, ঔরঙ্গাবাদ, লাতুর, হিঙ্গলি থেকে একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুখা মরশুমে খেতের পর খেতের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে, জীবনধারণের জন্য ন্যুনতম উপায়টুকুও তাদের হাতে থাকছে না। ফলে, মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় মিলছে কৃষকের আত্মহত্যার খবর।
এদিকে জানা যাচ্ছে, খরায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য চাকরি দেওয়ার কথা ভাবছে মহারাষ্ট্র সরকার। পাশপাশি, থাকছে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, খরায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, সেই সব কৃষকদের কি সবাই ক্ষতিপূরণ পাবেন? আর এখানেই থাকছে ধোঁয়াশা।
সূত্র অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ৭৫ জনের দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে, আশার কথা, ১২৯ জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এখনও আরও বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাশপাশি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন খরা কবলিত জেলায় বাড়ছে পানিকষ্ট। ফলে, কোথাও কুয়োর গভীরে নেমে, সেখান থেকে কয়েক ফোঁটা জল তুলে আনছেন কেউ। আবার কেউ কাদা মিশ্রিত জলই কোনওক্রমে পান করছেন তৃষ্ণায়। অনেক সময় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলেও, এক ফোঁটা জল পাওয়া যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি জলদূত মহারাষ্ট্রের খরা কবলিত এলাকায় পৌঁছলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। এখন দেখা যাক, কবে বৃষ্টি আসে, দাবদাহ কমে। কমে মানুষের পানিকষ্ট। বন্ধ হয় কৃষকের আত্মহত্যা।
২৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন