আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাশাপাশি দুটি দেশ ভারত এবং পাকিস্তান। তাদের দুই দেশের মাঝে বরাবরই দা-কুমড়ার সম্পর্ক বিরাজ করছে। প্রতিবেশী দেশ হলেও একে অপরকে কোনো ভাবেই দেখতে পারে না। এইতো কিছুদিন আগে ধর্মীয় উত্তেজনার কারনে পাকিস্তানের অনেক শিল্পীকে ভারতের ভিসা দেয়া হয়নি। আরো অনেক প্রকার সমস্যাই এই দুদেশের মাঝে চলছে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানকে নাকি ২৪ ঘণ্টাই তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের পতাকার দিকে। তারা তাকিয় তাকেয়ে দেখবে ভারতের পতাকা পতপত করে উড়ছে, তাহলে সেটা তাদের কাছে কতটা বিরক্তিকর হতে পারে একবার চিন্তা করে দেখুন তো!
এবার এমই একটা ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারত সরকার। ভারতে তৈরি করা হচ্ছে উচ্চতম জাতীয় পতাকা। যা নাকি দেখা যাবে পাকিস্তানের লাহোর থেকেও। আর ভারতের ওয়াঘা সীমান্তে লাগানো হবে সেই পতাকা। বিএসএফ জওয়ানদের কথায়, যদি আকাশকে ঢেকে দিতে না পারে পাকিস্তান, তা হলে ভারতের এই পতাকাকেও কোনো দিনই তারা ঢাকতে পারবে না।
পাকিস্তানের পঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্ত ও ভারতের আটারির মাঝে বিশাল গেট আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধ করার প্রতীকী অনুষ্ঠান দেখতে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ হাজির হন। বিএসএফ সেই ভিজিটার্স গ্যালারির সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, যাতে আরো বেশি দর্শককে এই রিট্রিট সেরিমনি দেখার সুযোগ করে দেয়া যায়। সেই সম্প্রসারণের অঙ্গ হিসেবেই দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকাটি লাগানোর পরিকল্পনা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে।
বিএসএফ-এর পঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের আইজি অশোককুমার যাদব বলেছেন, ‘৩৫০ ফুট উঁচু দণ্ডে উত্তোলন করা হবে এই পতাকা। পতাকা দণ্ডের উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বিশাল আকারের জাতীয় পতাকাও তৈরি হচ্ছে। এই পতাকা উত্তোলনের পর তা পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে যেমন দেখা যাবে, তেমনই পাকিস্তানের লাহোর থেকেও ভারতের এই জাতীয় পতাকা দেখতে পাওয়া যাবে।’ ২০১৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে এই বৃহত্তম জাতীয় পতাকা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই