আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আডলফ হিটলার। ১৮৮৯ সালে ২০শে এপ্রিলে জার্মানে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪৫ সালেনর ৩০শে এপ্রিল অর্থাৎ আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন।
হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন।
নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
যুদ্ধের অক্ষ শক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত।
১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন।
১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যা করেছিলেন অ্যাডফ হিটলার। আজ তার মৃত্যু দিন। অবশ্য তার মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একদল মনে করেন তিনি আত্মহত্যা করেননি, পালিয়েছিলেন। আর রাশিয়ার একদল কমিউনিস্টদের ব্যাখ্যা নিজের বাসগৃহেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি এবং তার একনিষ্ঠ কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার দেহ জ্বালিয়ে দিতে।
আত্মসমর্পণ করার আগে আত্মহত্যা করেন শাসক হিটলার
১৯২৩ সালে নাৎসি পার্টির সুপ্রিম অ্যাডফ হিটলার জার্মান সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরাস্ত হন।
১৯৩৩ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হন অ্যাডফ হিটলার।
গ্যাস চেম্বারে নারকীয় হত্যা কাণ্ডের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন অ্যাডফ হিটলার। ৬০ লক্ষ মানুষের হত্যার কাণ্ডারি ছিলেন ইনিই।
১৯৩৯ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম নায়ক অ্যাডফ হিটলার।
১৯৪৫ সালে, জার্মানির কাছে আত্মসমর্পন করার আগে আত্মহত্যা করেন অ্যাডফ হিটলার।-সূত্র : জিনিউজ, উইকিপিডিয়া
৩০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই