শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:১৮:১৪

প্রিন্সেস ডায়নার চাঞ্চল্যকর গোপন তথ্য ফাঁস, কে এই টেনিস তারকা?

প্রিন্সেস ডায়নার চাঞ্চল্যকর গোপন তথ্য ফাঁস, কে এই টেনিস তারকা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজবংশের অন্দরমহলের খবর অন্দরেই থেকে যায়৷ প্রকাশ্যে আসলেও তা রাজকীয় ব্যাপ্তি ধারণ করে৷ ব্রিটেনের প্রয়াত রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুরহস্য কথা চলে আসে আগেভাগেই৷ রাজকীয় ‘স্ক্যান্ডেল’-এর ইতিহাসে ডায়না নিজেই একটা পাতা জুড়ে রয়েছেন৷ সেই পাতারই বেশকিছু অপ্রকাশিত তথ্য এবার চলে এল সামনে৷

লাস্যময়ী ডায়নার জীবনে চার্লস ছাড়াও এসেছিলেন বয়ফ্রেন্ড দোদি ফায়াদ, যার উপস্থিতি একসময় রাজবংশে ঝড় তুলে দিয়েছিল৷ কিন্তু দোদি ছাড়াও ‘প্রিন্সেস অফ হার্টস’ ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি স্লোবোডান জিভোজিনোভিচ৷

একথা জানালেন খোদ সাবেক সার্বিয়ান তারকাই৷ ৫২ বছরে দাঁড়িয়ে এই হাড়হিম করা তথ্য ফাঁস করলেন জিভোজিনোভিচ৷ এখনো পর্যন্ত তিনিই সার্বিয়ার একমাত্র ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বর হওয়া তারকা৷ উন্মোচিত হলো ডায়নার জীবনের আরো এক রহস্যময় অধ্যায়৷

প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন কাটানোর সময়েই এসেছিলেন জিভোজিনোভিচ৷ ১৯৯২-তে টেনিসকে অবসর জানানো জিভোজিনোভিচ এখন সার্বিয়ার টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট৷ তার দেশেরই সংবাদপত্র ‘কুরির’-এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন জিভোজিনোভিচ৷

ডায়নার জীবনে যখন জিভোজিনোভিচ আসেন তখন ডায়না বৈবাহিক সূত্রে চার্লসের সঙ্গে আবদ্ধ৷ ঠিক তেমনই জিভোজিনোভিচও সেসময় জোরিকা ডেসনিকার স্বামী ছিলেন৷

জিভোজিনোভিচ বলছেন, দেখুন ডায়না আজ আমাদের মধ্যে নেই৷ ওর সম্বন্ধে বেশি কিছু বলব না আমি৷ ডায়নার মতো ব্যক্তিত্বের একজন আমার খেলা দেখতে আসত৷ এটা ভেবেই আমার অসাধারণ লাগত৷ কারণ তার আগে রাজ-পরিবাবের কোনো সদস্যই আমার সমর্থনে টেনিস দেখতে আসেনি৷

১৯৮৭-তে ডায়নার প্রথম উইম্বলডনের আসরে এসেছিলেন জিভোজিনোভিচের ম্যাচ দেখতে৷ ততদিনে ডায়না-চার্লস বৈবাহিক জীবনের ছ’টি বছর পার করে ফেলেছেন৷

কুরির লিখছে, ‘ডায়না এরপর থেকে যতবারই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন কখনই ভিআইপি সিটে বসেননি৷ কারণ স্ট্যান্ডে বসলেই জিভোজিনোভিচকে অনেক কাছ থেকে দেখতে পেতেন৷

ডায়নার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা আজো স্পষ্ট মনে আছে সাবেক সার্বিয়ার টেনিস খেলোয়াড়ের৷ তিনি বলছেন, আজো প্রথম দেখার কথা মনে আছে৷

ডায়না জিজ্ঞাসা করেছিল, টেনিসে তোমার সার্ভই কি বিশ্বের দ্রুততম? আমি বলেছিলাম হ্যাঁ৷ ডায়নার পরের প্রশ্নে আমি চমকে গিয়েছিলাম৷ ওর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিলাম৷

ডায়নার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন জিভোজিনোভিচ৷ তিনি বলছেন, আমি যখন ডায়নাকে বলেছিলাম যে, আমার কল্পনার প্রিন্সের মতোই ওকে দেখতে৷ একজন অসাধারণ মহিলা ছিল ডায়না৷

বাচ্চাদের সঙ্গেও ওর বোঝাপড়া ছিল৷৷ রাজ-পরিবারের ভিআইপি লজে না থেকে ও টাব্রিউনেই উঠত৷ ডায়নার সঙ্গে আমি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম৷

ডায়না যেরকম লাস্যময়ী সুন্দরী ছিলেন ঠিক তেমনই সুপুরুষ ছিলেন জিজোজিনোভিচ৷ একেবার পোস্টার বয় ইমেজ ছিল তার৷ ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের থেকে ১৩ বছরের ছোট ছিলেন ডায়না৷

নব্বই দশকের শেষের দিকে দু’জনের ডিভোর্সও হয়ে যায়৷ জিজোজিনোভিচও সেময় খেলাও ছেড়ে দেন।  স্ত্রীকেও ত্য্গ করেন।  

পরে তিনি আবার লিপা ব্রেনাকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৭-এর ৩১ অাগস্ট মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়না৷ মাত্র ৩৬ বছরেই মারা যান ডায়না৷
৩০ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে