আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘গরুর মাংস নিষিদ্ধ। কেউ আর আমার গরু কিনছে না, আমি বেচতেও পারব না। তাই আমার মেয়েকে বেচেতে হচ্ছ ‘। খরা কবলিত মহারাষ্ট্রের এমন করেই আতর্নাদ করতে করতে কথাগুলো বললেন কামালি বাই নামের এক মা।
গোটা রাজ্যে গরু মাংস নিষিদ্ধ। খরা কবলিত মহারাষ্ট্রে জীবন প্রায় বিপন্ন। এক ফোঁটা পানির খোঁজে কেউ মাইলের পর মাইল পথ অতিক্রান্ত করছেন, তবুও মিলছে না পানি। একদিকে পানির জন্য হাহাকার অন্যদিকে জীবিকার টান, জীবন জোয়ারে ভাটার টান। বাড়ির গৃহপালিত গবাদি পশুটাও কেউ কিনবে না। ঘরে নেই টাকাকরি। উপায় না পেয়ে মেয়ে কাবেরিকেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে মা কামালি বাইকে।
ইয়েল্লামা নামের এক আদি পূজাতে কাবেরি হবে দাসী। মহারাষ্ট্রের তথাকথিত অভিজাত উচ্চ শ্রেণী বর্গই এই প্রথা চালু করেছে বলে জানা যায়। পূজার শেষে কাবেরি হয়ত অনৈতিক কাজের দাসীতে পরিণত হবে অথবা কোনও পানশালায় মাথা গোঁজার শেষ উপায় থাকবে ওর হাতে। 'বেটি বাঁচাও' নামে নীতি তো হবে কিন্তু এই ভাবেই বিক্রি হবে ৯ থেকে ১০ বছরেরে কিশোরীরা, মোদী সরকারের উদাসীনতাকেই এর জন্য দায়ী করছেন সমাজ বিশেষজ্ঞ থেকে সমাজবিদরা।
এই খরা মোকাবিলা করার জন্যও উপযুক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয়নি, কটাক্ষ বিরোধীদের। ‘সকারের একটা পুলিশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে, আর্মি সংরক্ষণেরও নীতি রয়েছে সরকারের, আর পানি সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সরকার একেবারে উদাসীন'। এটাই সরকারের চূড়ান্ত ব্যার্থতার নজির, প্রতিক্রিয়া সমাজের এগিয়ে থাকা অংশের।
১১ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন