আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মান যশ অর্থ সবই আছে৷ শুধু নেই পারিবারিক কোনও সহমর্মিতা৷ অগত্যা বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই মিলেছে৷ শৈশবে মহাত্মা গান্ধীর কোল ছিল তাঁর একান্ত আপনার স্থান৷ আর ৮৭ বছরে এসে কোথাও থাকার মত ঘর পেলেন না গান্ধীর নাতি কান্নুভাই রামদাস৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এই প্রাক্তন কর্মীর ঠিকানা দিল্লির গুরু বিশ্রাম বৃদ্ধাশ্রম৷
বংশ কৌলীন্য রয়েছে৷ দাদু মহাত্মা গান্ধী৷ বাবা গান্ধীর তৃতীয় পুত্র রামদাস৷ তাঁরই পুত্র কান্নুভাইকে দেখভাল করতে আগ্রহী নয় নিকট আত্মীয়রা৷ অভিযোগ এমনই৷ সন্তান নেই৷ কার কাছে থাকবেন মহাত্মা গান্ধীর নাতি৷ নিজেদের মত জীবন কাটাতে বেছেই নিলেন বৃদ্ধাশ্রম৷
কর্মজীবন কেটেছে মার্কিন মুলুকে৷ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কৃতী ছাত্র কান্নুভাই রামদাস গান্ধী কখনও কাজ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে৷ কখনও নাসায়৷ স্ত্রী শিবলক্ষ্মী বস্টনে অধ্যাপনা করতেন৷ ২০১৪ সালে দেশে ফেরার পর আত্মীয়দের সঙ্গে ছিলেন৷ তারা তেমন যত্নশীল ছিলেন না৷ জানিয়েছেন কান্নুভাই গান্ধী৷ তখনই তারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সিদ্ধান্ত নেন৷ এদিকে দিল্লির বৃদ্ধাশ্রমটির পরিচালক ডক্টর জি পি ভগৎ জানিয়েছেন, গান্ধীর নাতি ও তাঁর স্ত্রীকে সবরমতী আশ্রম থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে৷ তারপর তাঁরা দিল্লি চলে আসেন৷
কান্নুভাই গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী শিবলক্ষ্মীর জন্য আরামদায়ক ব্যবস্থা করা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে৷ আত্মীয়রা যেভাবে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন তাতে মর্মাহত গান্ধী পৌত্র৷-কলকাতা২৪
১৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস