আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের সব ধরনের সমস্যার নেপথ্যে সৌদি আরবের যুক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তারাই প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস ও ইসরাইলকে সহযোগিতার জন্য সিদ্ধহস্ত।
গতকাল (রোববার, ১৫ মে) ইরানের রাজধানী তেহরান সিটি কর্পোরেশনের ‘এইভানে শামস’ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হাম সেদা বা আকসা’ শীর্ষক সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দূর্দশার কথা উল্লেখ করে আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার (মাজমা) মহাসচিব বলেন, ১৯৪৮ সালের স্মরণে এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ‘মুহাম্মাদ হাসান আখতারি’ বলেন, ইমাম খোমেনি (রহ.) ১৯৪৮ সালেরও আগে হাওযা ইলমিয়ার একজন শিক্ষক হিসেবে ফিলিস্তিনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দখলদার ইসরাইলকে মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকি বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে তার মিত্র এবং অত্যাচারী আরব শাসকরা বিরাট খেয়ানত ও বিশ্বাসঘতকতায় লিপ্ত। তারা আরব বিশ্বে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে চায়।
হাসান আখতারি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বহুবার এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের সকল সমস্যার নেপথ্যে সৌদি আরব যুক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তারাই প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস ও ইসরাইলকে সহযোগিতার জন্য সিদ্ধহস্ত।
হাওযা ইলমিয়ার এ শিক্ষক বলেন, বর্তমানে আমরা তৃতীয় ইন্তিফাদার (গণজাগরণ) সাক্ষী। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারগুলো এ বিষয়ে উদাসীন। স্বৈরাচারী সৌদি সরকার ফিলিস্তিনের অসহায় ও নির্যাতিত জনগণকে সাহায্য করার পরিবর্তে ইয়েমেনের জনগণের উপর বোমা বর্ষণ এবং লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপরাধকর্ম করে চলেছে।
হুজ্জাতুল ইসলাম আখতারি তার বক্তব্যের শেষে ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য এবং তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে ইরান সরকার ও ইরানি জাতির দৃঢ়তার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমেরিকা ও তার মিত্ররা বহুবার এ বিষয়টি উত্থাপন করেছে যে, যদি আমরা ফিলিস্তিনের বিষয়টি থেকে হাত গুটিয়ে নেই তবে মানবাধিকার ও পরমাণু সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ইমাম খোমেনি (রহ.), সর্বোচ্চ নেতা ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সরকার এ বিষয়ে অটল থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।-এবিএনএ
১৬ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই