আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে ভূমিধস এবং বন্যাসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়। খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৫৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছে আরো শতাধিক মানুষ। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ আরো কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। দেশটির মাহাইল্লুপ্পালামা এলাকায় এক সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বর্ষণ সৃষ্টি করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে প্রদেশগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যাও। মারাত্মক বন্যা ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েব সাইট ‘ওয়েদার ডটকম’ জানিয়েছে, রোয়ানু ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে না পারলেও প্রচুর বৃষ্টি ঝড়িয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে পাহাড়ি ঢল, আকষ্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণ ঘটাতে পারে। বন্যার স্থায়ীত্ব সপ্তাহব্যাপী হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে এসে বর্তমানে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে স্থির হয়ে আছে। রোয়ানু আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯৭ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১২১ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে, ওই শক্তির ঘূর্ণিঝড়কে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়োহাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হলে তাকে বলা হয় তৃতীয় ক্যাটাগরির সাইক্লোন।
২০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন