আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, পরমাণু প্রযুক্তিতে ইরানের সক্ষমতার কাছে শত্রুরা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তারা ইরানকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী তেহরানে বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, একটা সময় ছিল যখন শত্রুরা ইরানে একটি সেন্ট্রিফিউজের অস্তিত্বকেও মেনে নিতে চাইত না। কিন্তু অবশেষে তারা ইরানের পরমাণু শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকা আসলে আমাদেরকে কোনো ছাড় দেয় নি, বরং আমরা আমাদের নিজস্ব শক্তি দিয়েই তা অর্জন করেছি। শত্রুরা নানা পথ অবলম্বন করেও ইরানি জাতিকে কাবু করতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন 'নরম যুদ্ধ' চাপিয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানান।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বলদর্পী শক্তিগুলো স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জাতির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। যেসব জাতি বা রাষ্ট্র প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারাই ওইসব বলদর্পি শক্তির ফাঁদে পড়ছে। গত কয়েক দশক ধরে শত্রুরা ইরানের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী।
১৯৮০ সালে ইরানের ওপর ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, শত্রুরা যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ায় তারা দেশটির ওপর এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘নরম আগ্রাসন’ চালানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী শত্রুদের তৃতীয় পর্যায়ের শত্রুতার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, শত্রুরা এই পর্যায়ে ইরানের পাশাপাশি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থার ভেতরও অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বলদর্পী শক্তিগুলো এখন ইরানের সিদ্বান্ত গ্রহণের কেন্দ্রগুলোতে প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি দেশটির জনগণ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট এবং মৌলিক নীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।
২৭ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম