আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শপথ সম্পূর্ণ। দফতর বণ্টনও সেরে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় প্রত্যেক হেভিওয়েটেরই দফতর অপরিবর্তিত থাকল।
আগের বারের মতো এবারও স্বরাষ্ট্র, পার্বত্য বিষয়ক, কর্মিবর্গ, স্বাস্থ্য, তথ্য সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র শিল্প নিজের হাতে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অরূপ বিশ্বাসের দায়িত্ব আরও বাড়ল। এবার তাঁর হাতে তিন তিনটি দফতর – পূর্ত, ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ। প্রথমবার মন্ত্রী হয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতেও তিনটি দফতর – দমকল, আবাসন এবং পরিবেশ। এবারও পুর ও নগরোন্নয়ের দফতরের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম।
আগের বারের মতো এবারও শিক্ষার সঙ্গে পরিষদীয় দফতরের গুরু দায়িত্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে।
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি দফতর। এবার সেই দফতর ব্রাত্য বসুর হাতে তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত মিত্রর হাতে আগের মতোই রইল অর্থ, শিল্প-বাণিজ্য এবং আবগারি দফতর।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি। প্রথমবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে বিদ্যুত্ দফতর হাতে পেলেন
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গতবার মণীশ গুপ্তর হাতে ছিল এই দফতর। কিন্তু, এবার তিনি যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হয়েছেন।
মন্ত্রিসভায় আরেক নবাগত, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অবনী জোয়ারদারের হাতে কারা দফতরের দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গৌতম দেবের দফতর বদল হল। তিনি পেলেন পর্যটন। আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে মমতা দিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান দফতর।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর অপরিবর্তিত রইল। তিনি এবারও খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভায় আরেক নবাগত শুভেন্দু অধিকারীকেও গুরু দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণ ক্ষেত্রে এখনও অনেক জায়গায় বাম শ্রমিক সংগঠনের আধিপত্য রয়েছে। মদন মিত্র পরাজিত হওয়ায় এবার পরিবহণের দায়িত্ব পেলেন শুভেন্দু অধিকারী।
জাভেদ খান হলেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন হলেন বনমন্ত্রী, সাধন পাণ্ডে হলেন ক্রেতা সুরক্ষা ও স্বনিযুক্তিমন্ত্রী, পূর্ণেন্দু বসু কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন।
মলয় ঘটকের জোড়া দায়িত্ব। তিনি পেলেন শ্রম এবং আইন দফতর। কোচবিহার থেকে জিতে আসা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। অরূপ রায় হলেন সমবায়মন্ত্রী, শান্তিরাম মাহাতো হলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী, চন্দ্রনাথ সিংহ পেলেন মৎস্য দফতর।
রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে জৈব প্রযুক্তি, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতর। সৌমেন মহাপাত্র আগের বারের মতোই এবারও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর পেলেন। আগের মতোই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও পেলেন সেচ দফতর। মন্ত্রিসভায় নবাগত তপন দাশগুপ্ত পেলেন কৃষি বিপণন। শশী পাঁজা শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন।
মন্টুরাম পাখিরা হলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী।
সিদ্দিকুল্লা চৗধুরী হলেন জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী হলেন। স্বপন দেবনাথ ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি ভূমি ও ভূমি সংস্কার প্রতিমন্ত্রী হলেন। মন্ত্রিসভায় নবাগত অসীমা পাত্র পেলেন কারিগরি শিক্ষা। বাচ্চু হাঁসদা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হলেন। জাকির হোসেন হলেন শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী। প্রথমবার জিতেই মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন তিনি।
একইভাবে ইন্দ্রনীল সেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন। প্রাক্তন আইপিএস জেমস কুজুর হলেন আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী।
গিয়াসউদ্দিন মোল্লা হলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ শ্যামল সাঁতরা হলেন পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য-কারিগরিপ্রতিমন্ত্রী। উত্তর দিনাজপুরের গোলাম রব্বানি হলেন পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় আরেক নতুন মুখ চূড়ামণি মাহাতো অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী হলেন। এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন সন্ধ্যারানি টুডু।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিধানসভার অধ্যক্ষ হবেন। গতবার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন সোনালি গুহ। এবার তাঁর জায়গায় ডেপুটি স্পিকার হচ্ছেন হায়দার আজিজ স্বফি। নতুন মুখ্য সচেতক হচ্ছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কে কোন দফতর পেলেন–
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–স্বরাষ্ট্র, পার্বত্য বিষয়ক, কর্মিবর্, গস্বাস্থ্য, তথ্য সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, ক্ষুদ্র শিল্প
অমিত মিত্র-অর্থ, শিল্প-বাণিজ্য, আবগারি
ব্রাত্য বসু -তথ্য-প্রযুক্তি
পার্থ চট্টোপাধ্যায়-শিক্ষা, পরিষদীয়
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-বিদ্যুৎ
ফিরহাদ হাকিম-পুর ও নগরোন্নয়ন
অবনী জোয়ারদার-কারা, শরনার্থী পুনর্বাসন
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ- উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন
শান্তিরাম মাহাত- পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন
অরূপ রায়- সমবায়
অরূপ বিশ্বাস-পূর্ত, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ
জাভেদ খান-অসামরিক প্রতিরক্ষা ও বিপর্যয় মোকাবিলা
শুভেন্দু অধিকারী–পরিবহণ
গৌতম দেব-পর্যটন
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-খাদ্য
শোভন চট্টোপাধ্যায়-দমকল, পরিবেশ, আবাসন
সৌমেন মহাপাত্র, জলসম্পদ উন্নয়ন
বিনয়কৃষ্ণ বর্মন-বন
পুর্ণেন্দু বসু-কৃষি
সাধন পাণ্ডে-ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনিযুক্তি
সুব্রত মুখোপাধ্যায়-পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি
চন্দ্রনাথ সিংহ-মত্স্যমন্ত্রী
মলয় ঘটক-আইন ও শ্রম
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সেচ
তপন দাশগুপ্ত-কৃষি বিপণন
জেমস কুজুর-আদিবাসী উন্নয়ন
চূড়ামণি মাহাত- অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন
আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যান
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-জৈব প্রযুক্তি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান
শশী পাঁজা-শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ(স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত), স্বাস্থ্য (প্রতিমন্ত্রী)
সিদ্দিকুল্লা-জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার(স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত), পরিষদীয় (প্রতিমন্ত্রী)
অসীমা পাত্র-কারিগরি শিক্ষা(স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)
স্বপন দেবনাথ-ক্ষুদ্র শিল্প (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ভূমি ও ভূমি সংস্কার (প্রতিমন্ত্রী)
জাকির হোসেন-শ্রম প্রতিমন্ত্রী
মন্টুরাম পাখিরা, সুন্দরবন উন্নয়ন(প্রতিমন্ত্রী)
লক্ষ্মীরতন শুক্ল-ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ(প্রতিমন্ত্রী)
ইন্দ্রনীল-তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
বাচ্চু হাঁসদা- উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন (প্রতিমন্ত্রী)
জাকির হোসেন- শ্রম (প্রতিমন্ত্রী)
গিয়াসউদ্দিন মোল্লা- সংখ্যালঘু উন্নয়ন(প্রতিমন্ত্রী)
শ্যামল সাঁতরা- পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য-কারিগরি(প্রতিমন্ত্রী)
গোলাম রব্বানি- পর্যটন(প্রতিমন্ত্রী)
সন্ধ্যারানি টুডু- অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন(প্রতিমন্ত্রী)
স্পিকার – বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেপুটি স্পিকার-হায়দর আজিজ স্বফি-আনন্দ
২৮ মে,২০১৬/এমটিনিউ২৪/এআর