মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬, ০৩:১৩:১০

এক বৌদ্ধমন্দিরে ১৩৭টি বাঘ, অবশেষে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

এক বৌদ্ধমন্দিরে ১৩৭টি বাঘ, অবশেষে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধমন্দিরে ১৩৭টি বাঘ থাকত। পর্যটকেরা অর্থের বিনিময়ে সেই বাঘ দেখতে এবং সেলফি তুলতে পারতেন। কিন্তু পাচারের অভিযোগে সেখান থেকে বাঘগুলো সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সোমবার দ্য ওয়াত ফা লুয়াং তা বুয়া টাইগার টেম্পল নামের ওই মন্দির থেকে তিনটি বাঘ সরিয়ে নিয়েছে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ। মঙ্গলবারও বাঘ সরানো হবে। এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই প্রক্রিয়া।

বাঘগুলোকে সরকারি অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের উপমহাপরিচালক অ্যাডিসর্ন নুচদামরং বলেন, পাচার ও অপব্যবহারের অভিযোগ থাকায় এর আগেও তারা মন্দির থেকে বাঘ সরানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা করেনি। তাই তারা এখন আদালতের পরোয়ানা নিয়ে এসেছেন।

দেশটির কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের ওই মন্দিরের বাঘগুলোকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর স্ট্রেচারে করে খাঁচায় ভরে সযত্নে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় এক হাজার ব্যক্তি বাঘ সরানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও ওই বৌদ্ধমন্দিরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই শিয়াল, ভালুক ও ধনেশ পাখি রাখা হয়েছিল। পরে সেগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মীরা বৌদ্ধমন্দির থেকে ১০টি বাঘ সরিয়ে নেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ বরাবরই দাবি করে এসেছে, জায়গাটি বাঘদের জন্য অভয়ারণ্য।

২০০১ সালে থাইল্যান্ড বাঘদের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটি এখন বন্য প্রাণী ও বন্য সম্পদ পাচারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। গজদন্ত, স্তন্যপায়ী প্রাণী, বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী, বিদেশি পাখিদের থাইল্যান্ডের বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড সরকার নতুন বন্য প্রাণী কল্যাণ আইন প্রণয়ন করেছে। তবে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মীরা বলছেন, এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
৩১ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে