আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্বশুর ভেবেছিলেন ছেলের বউকে দুর্বৃত্তরা চোখের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। মামলায় করেছিলেন। কিন্তু পরে জানা গেল, নববধূ নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট পৌরসভার দেগঙ্গায় এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে অনুসন্ধান চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। শ্বশুরবাড়ি বসিরহাটে। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ। বাধ্য হয়ে রাজি হয়।
বিয়ের পরে নানা আনুষ্ঠানিকতা সারতে গত সোমবার পর্যন্ত মেয়ে-জামাই ছিল দেগঙ্গায় তরুণীর বাপের বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালে নতুন জামাই কাজে যান। ওই দিনই বিকেলে পুত্রবধূকে ফিরিয়ে আনতে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বশুর এবং তার দুই আত্মীয়। তরুণীকে নিয়ে দেগঙ্গার দিকে রওনা দেয় গাড়ি।
বেলা তখন প্রায় সাড়ে ৪টে। দেগঙ্গার কালিয়ানী বিল এলাকায় টাকি রোড ধরে যাচ্ছিল গাড়ি। একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে আসতেই লাঠি হাতে গাড়ি থামায় এক হিজড়া। মেয়েটিকে গাড়ির ভেতর থেকে বের করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে সেখানে তিনটি মোটরবাইকে হাজির হয় তিন যুবক। শ্বশুর ও আত্মীয়েরা প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ধাক্কধাক্কি হয়। ইতিমধ্যে এক যুবক তরুণীকে গাড়ি থেকে বের করে একটি মোটরবাইকে বসিয়ে ছুটে চলে যায়। অন্য বাইকটিতে উঠে পালায় ওই হিজড়াসহ বাকিরাও।
পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুর। তদন্তে নামে পুলিশ। গত বুধবার দেগঙ্গা থেকেই ধরা পড়ে এক যুবক। বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ৭ দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানিয়েছে, তার এক বন্ধুর সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম ছিল। বিয়ে করবে বলেও ঠিক করেছিলেন দু’জনে। তাকে তুলে আনতে হবে অপহরণের ছক কষা হয়। এক আত্মীয়ের মোবাইল থেকে প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল তরুণীটি।
তবে তরুণীর বাবার দাবি, মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতেন না তিনি।
আর নতুন স্বামীটি কী বলছেন? তিনি বলেন, ‘পাঁচটা দিন ওর সঙ্গে ঘর করলাম। কিছু তো বুঝতে পারিনি। আমার মনে হচ্ছে, ওকে কেউ জোর করেই নিয়ে গেছে।’
৩ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই