আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তুরস্ককে প্রতারণা করার জন্য আর্মেনিয়ায় অটোমান সেনাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হচ্ছে।
গতকাল (শনিবার) টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে তুরস্ককে প্রতারিত করার জন্য আর্মেনিয়া একটি উপযুক্ত ইস্যু; এমনকি একে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।” তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, “আমি সারা বিশ্বকে বলতে চাই; আপনারা পছন্দ করুন বা নাই করুন- আর্মেনিয়া ইস্যুতে আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই পরিষ্কার। আর তা হচ্ছে- গণহত্যার অভিযোগ আমরা কখনো মেনে নেব না।”
গত বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদে ১০০ বছর আগে আর্মেনিয়ার হত্যাকাণ্ডকে অটোমান সাম্রাজ্যের সেনাদের গণহত্যা বলে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। তবে এটি একটি প্রতীকি উদ্যোগ; এর আইনগত কোনো কার্যকারিতা নেই। জার্মানির আগে ফ্রান্স ও রাশিয়া ওই ঘটনাকে গণহত্যা বলে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আর্মেনিয়ার অধিবাসীরা অভিযোগ করে থাকেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সেনারা পূর্ব তুরস্কে আর্মেনিয় খ্রিস্টানদের ওপর একের পর এক গণহত্যা চালায় এবং কয়েক বছর ধরে চলে সে হত্যাকাণ্ড। সে সময় হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক স্থানত্যাগ ও খাদ্যাভাবে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব বক্তব্যের জবাবে এরদোগান বলেন, সবদিক দিয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের সেনারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল যদিও আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আনাতোলিয়ায় কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
আংকারা সবসময় আর্মেনিয় ‘গণহত্যা’ শব্দটিকে নাকচ করে আসছে এবং তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হওয়ার কথা বলে। তুরস্ক একে ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি বলে উল্লেখ করে। তুরস্ক বলে থাকে, সে সময় বহু তুর্কিও মারা গেছে।
হলোকাস্টের কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, “জার্মানি হচ্ছে সর্বশেষ দেশ যারা রক্তরঞ্জিত হাতে তুরস্কের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ায় গণহত্যার কথা বলে আমাদেরকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।-প্যারিস টুডে
৫ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই