বুধবার, ০৮ জুন, ২০১৬, ১১:২৪:৫৩

সৌদি নারী বিয়ে করল বিদেশি পুরুষ, কেমন হলো প্রতিক্রিয়া

সৌদি নারী বিয়ে করল বিদেশি পুরুষ, কেমন হলো প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদেশি পুরুষকে সৌদি এক নারীর বিয়ে করার ছোট্ট একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করার পর এধরনের বিয়ে নিয়ে শোরগোল চলছে। এই বিতর্কের মধ্যে উঠে এসেছে সৌদি আরবের রাজনীতি, সমাজ এবং নারী অধিকারের প্রসঙ্গও।

সৌদি এক নারীর সাথে তার প্রেমিক সিরিয়ান এক পুরুষের বিয়ে হচ্ছিলো। বিয়েটি হয় সৌদি আরবের মদিনা শহরে।  যিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাতে দেখা যায় একদল পুরুষ গোল হয়ে নাচছে। এই ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

ভিডিওটি পোস্ট করার পর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। হ্যাশট্যাগটি ছিলো এরকম: ‘হার্ব গোত্রের একজন নারী মদিনায় সিরিয়ান এক পুরুষকে বিয়ে করছে।’

এই বিতর্কের মূল ইস্যুই ছিল কনেটি কোন গোত্রের মেয়ে এবং পাত্রের জাতীয়তা এই দুটো বিষয়। সোশাল মিডিয়ায় উঠা এই বিতর্কে কেউ কেউ দুটো দেশের ছেলেমেয়ের এই বিয়ের ঘটনায় ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

একজন লিখেছেন, মদিনায় আজ রাতে যেটা হলো সেটা কোরানের একটি বাণীরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। একজন বিদেশিকে বিয়ে করার পরিণতি কি হতে পারে সেটা নিয়েও অনেকে সাবধান করে দিয়েছেন।

একজন লিখেছেন, ‘তিনি কাকে বিয়ে করবেন এটা তার অধিকার। কিন্তু পরে তিনি চিৎকার করে বলতে পারবেন না যে আমার স্বামী ও সন্তানরা বিদেশি। তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন।’

একজন লিখেছেন, ‘আমি আশা করবো তিনিই হবেন শেষ সৌদি নারী যিনি কোনো বিদেশিকে বিয়ে করেছেন।’

অনেকে এই দম্পতিকে অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি উপায়। এর মধ্য দিয়ে সৌদি নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টিও চলে আসবে।

একজন লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বড়ো কথা তিনি একজন মুসলিম। বর্ণবাদকে না বলুন। নারী ও পুরুষ সবার জন্যেই আইন সমান হওয়া উচিত।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘একজন সৌদি পুরুষ যখন বিদেশি একজন নারীকে বিয়ে করেন তখন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এর উল্টোটা নিষিদ্ধ।’

কেউ কেউ বলেছেন, পবিত্র কোরআনেও নিজ জাতি ও গোত্রের বাইরে সম্পর্কের উদাহরণ রয়েছে। একজন মহানবী সা. এর আমলের এক ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে এই প্রথা গৃহীত।

‘বিলাল বিন-রাবা আল-হাবাশি (মহানবীর একজন সাহাবী। তিনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছিলেন যা আজ ইথিওপিয়া নামে পরিচিত। তিনি মক্কার প্রভাবশালী কুরাইশ বংশের এক নারী হালাকে বিয়ে করেছিলেন। ইসলামে এসব বর্ণবাদের কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সেগুলোকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’ -বিবিসি
৮ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে