আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরিবারের মত নেই, তাই পালিয়ে বিয়ে করেছিল মেয়ে। এই অপরাধে নিজের মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার মা। পুলিশ ওই ঘটনায় মেয়েটির মাকে গ্রেপ্তার করেছে। লোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর শহরে। দেশটিতে চলতি মাসে এ নিয়ে একই ধরণের তিনটি ঘটনা ঘটলো।
পুলিশ জানিয়েছে নিহত মেয়ে জিনাত রফিকের (১৮) গায়ে প্রহারের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেয়েটির মা প্রথমে তাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে এবং তার গায়ে জ্বালানি ছিটিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দেশটিতে প্রেম করে বিয়ে করাকে সামাজিকভাবে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। এসব ক্ষেত্রে নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও বেশি।
গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি স্কুল এক শিক্ষিকা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার গায়ে আগুন দেয়া হয়। পরে ওই শিক্ষিকা মারা যান। এরও একমাস আগে বন্ধুকে পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করায় এক কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় পুলিশের সুপার (এসপি) ইবাদত নাসের জানিয়েছেন, তারা নিহত জিনাত রফিকের ভাইকে খুঁজছেন। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে রয়েছে। জিনাতের মা পারভিন খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছেন নাসের। তবে এতে পরিবারের কেউ তাকে সাহায্য করার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।
গত সপ্তাহে জিনাত এবং তার স্বামী হাসান খান পালিয়ে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন। হাসান জানান, জিনাত যখন তার পরিবারকে তাদের বিয়ের কথা জানায় তখনই তার পরিবারের সদস্যরা তার ওপর নির্মম প্রহার শুরু করে। এতে তার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে।
৯ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম