বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন, ২০১৬, ০৮:৩৮:৪৪

মোটা বলে খোঁটা আর নয়, এবার পাতলা হয়ে যাচ্ছেন ক্ষ্যাপা কিম!

মোটা বলে খোঁটা আর নয়, এবার পাতলা হয়ে যাচ্ছেন ক্ষ্যাপা কিম!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের অনেক অসুখ! কি, অবাক হলেন? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিমের অসুখটা হলো কম বয়সে তিনি অনেক মোটা হয়ে গিয়েছেন। তাকে দেখতে কেমন যেন গাবলুগুবলু ভাব। রাজকীয় ব্যাপরটাই নেই তার মাঝে। তাই এবার মােটা থেকে রোগা পাতলা হতে হবে তাকে। আর রোগা হওয়ার যন্ত্র আসছে আমেরিকা থেকে। কিম আবার উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তাই জওয়ানদের মতো ছিপছিপে হতেই হবে। তার অধিনস্তরা অনেক ভয়ে ভয়ে থাকেন এমনর কিছু বললে যদি আবার নেতা মাথা উড়িয়ে দেয়ার হুকুম দেন!

ভয়ে থাকারই কথা। কারণ নেতার অনেক রাগ। কখন যে কী করেন-এই কথা আর কেউ বলতে পারেন না। মূলত নেতার একটা অসুখ হয়েছে। নেতা মানে যে সে নেতা নন। তিনি কিম জং উন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। রাষ্ট্রপ্রধান। তার মনে হয়েছে তিনি বেশ মোটা। যেই এমন কথা মনে হয়েছে সেই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ডাকা হলো। দলে দলে আসে আর ফিরে যায়। কিন্তু, রোগ সারে না। অবশেষে যুক্তি করে বুদ্ধি বের করা হয়েছে। বিদেশ থেকে যন্ত্র আনতে হবে। যদিও খরচ অনেক। তাতে কী? দেশের নেতা যখন তিনি তখন রাষ্ট্রের অর্থ তো তারই।

পশ্চিমের দেশগুলি উত্তর কোরিয়াকে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হিসেব গণ্য করে বলে, তারা মার্কস বাদ লেনিন বাদ নয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বাদ। অনেকের এমন মত হওয়া যে অন্যায় তাই বা বলে কে-কিম জং উন নিয়ে তো অভিযোগের শেষ নেই, কখন কুকুর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করানোর অভিযোগ, কখনো বিমান বিধ্বংসী কামানের সামনে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড। এমনি হাজারো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই বেশ ভয়ে আছেন তার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যদি কিমের অসুখ না সারে। তাহলে কী হবে?

সদস্যদের ভয় পাওয়ার আরো অনেক কারণ আছে, লোকমুখে কোরিয়ায় প্রচলিত, উত্তর কোরিয়ার কেউ যদি কিমের মতো হেয়ার কাট করে তবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। হবেই নাই বা কেন কিম তো এমনি এমনি সর্বোচ্চ নেতা হননি। লোককথায় তিনি ১২ বছর বয়সে স্নাতক, জানেন ডজন খানেক ভাষা। কী জানেন না তিনি? সাব ধরণের মেরিন চালাতে, বিমান চালাতে, জওয়ানদের শেখাতে পারেন বন্দুক চালানো। আর তাই তো সব ভয় সেখানেই। যদি বন্দুকের লক্ষ্য হেত হয় সেই সেনা সদস্যদের। কিছুদিন আগেই সেনা আইন পাশ হয়েছে এতে বলা হয়েছে, জওয়ানদের মোটা হওয়া চলবে না। এমন আইনের কথা মনে ধরেছিল কিমের। সেই সঙ্গে ধরা পড়েছিল তার নিজের রোগও। রোগটা কিম নিজেই ধরেছিলেন তিনি বেশ মোটা। আর তাতেই বিপত্তি।
৯ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে