শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬, ০৮:১৬:৩৯

বক্তৃতা দিতে না দেয়ায় মুহাম্মাদ আলীর দাফন বর্জন করলেন এরদোগান!

বক্তৃতা দিতে না দেয়ায় মুহাম্মাদ আলীর দাফন বর্জন করলেন এরদোগান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ববিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলীর দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। দাফন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার তালিকা থেকে এরদোগানের নাম বাদ দেয়ার কারণে তিনি এ অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বলে খবর বের হয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়ে এরদোগানের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে- “আমেরিকা সফর সংক্ষিপ্ত করবেন এরদোগান। তিনি মুহাম্মাদ আলীকে সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন কিন্তু কেনটাকির লুইসভিলে দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।”

এর আগে, মুহাম্মাদ আলীর নামাজে জানাযা ও তার স্মরণে আয়োজিত এক ইফতারি মাহফিলে এরদোগান বলেন, “আমেরিকার মতো দেশে ২২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মুহাম্মাদ আলী সঠিক পথে চলেছেন। এ কারণেই আমরা তার প্রশংসা করছি।”

এদিকে, মুহাম্মাদ আলীর পরিবারের মুখপাত্র বব গানেল বলেছেন, বক্তার তালিকায় অন্য দুটি নাম ঢোকানোর কারণে বিদেশি অতিথি এরদোগান ও জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে পারবেন না। ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর দিয়েছে। বক্তার তালিকা থেকে এ দুজনের নাম বাদ দেয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেন নি গানেল।

অন্যদিকে, মুহাম্মাদ আলীর কফিনে পবিত্র কাবা শরীফ থেকে নেয়া এক টুকরো কাপড় দেয়ার জন্য এরদোগান যে অনুরোধ করেছিলেন তাও রাখেন নি দাফন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। ওই অনুষ্ঠানে তুরস্কের একজন শীর্ষ পর্যায়ের আলেম কোরআন তেলাওয়াত করেন।

তুরস্কের গণমাধ্যম বলছে, এই ঘটনার কারণেই প্রেসিডেন্ট এরদোগান ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে অন্য এক খবরে বলা হয়েছে, আলীর পরিবার আমেরিকায় বসবাসরত তুরস্কের বিরোধী ধর্মীয় নেতা ফতেউল্লাহ গুলেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সে কারণে এরদোগান দাফন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। ফতেহউল্লাহ গুলেন হচ্ছে এরদোগানের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক নেতা।-প্যারিস টুডে।
১১ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে