রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬, ১১:১৯:৩৭

সৌদিকে কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে ঢাকার দূতিয়ালী!

সৌদিকে কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে ঢাকার দূতিয়ালী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনে সামরিক অভিযানে শিশুহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের করা একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই প্রতিবাদের পর জাতিসংঘ ওই কালো তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দিয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কালো তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সৌদি আরবের কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টি জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন চিলড্রেন অ্যান্ড আর্মড কনফ্লিক্টে উঠে আসে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ইয়েমেনে ৬০ শতাংশ শিশু মৃত্যুর জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দায়ী। গৃহযুদ্ধকবলিত ইয়েমেনে গত বছর ৫১০টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ৬৬৭টি শিশু। বার্ষিক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

ব্রিটিশ পত্রিকা ইনডিপেনডেন্ট-এ গত শুক্রবার এ-বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপের মুখে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি প্রতিবেদন থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব সৌদি আরবের নাম বাদ দিয়েছেন।

অবশ্য সৌদি আরবের নাম বাদ দিতে জাতিসংঘের ওপর মুসলিম বিশ্বের চাপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বান-কি মুন।

তিনি বলেন, ‘কালো তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেওয়াটা মহাসচিব হিসেবে তার জন্য সবচেয়ে পীড়াদায়ক ও জটিল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।’

গত শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে সাহায্য কর্মসূচি ও জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মসূচি থেকে সৌদি আরবের তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তেলসমৃদ্ধ দেশটির মুসলিম মিত্ররা বান-কি মুনকে চাপ দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ গত সোমবার প্রতিবেদন থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেয়।

নিউইয়র্কের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তালিকায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মহাসচিবকে ফোনে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালো তালিকা থেকে সৌদি জোটের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবে সফরের সময় বান কি মুনের দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলেন।
১২ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে