আন্তর্জাতক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৈশক্লাবে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো কে এই ওমর মতিন, যার গুলিতে মারা গেছেন ৫০ জন। আহত হয়েছেন আরো ৫৩ জন। কেন তিনি এভাবে গুলি চালিয়ে এত মানুষ হত্যা করলেন- এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডো শহরে 'পালস' নামের নৈশক্লাবটিতে হামলা চালান ওমর মতিন। শহরের মেয়র বাডি দিয়ের বলেছেন, হামলায় হতাহতের সংখ্যা শতাধিক।
আক্রমণকারী বন্দুকধারীর পরিচয় সম্পর্কে কিছু তথ্য জানায় বিবিসি এবং আমেরিকান সংবাদ চ্যানেলগুলো।
বিবিসি জানায়, হামলাকারী বন্দুকধারীর নাম ওমর মতিন এবং তার বয়েস ২৯।
সিবিএস নিউজ জানাচ্ছে, তার বাড়ি ফ্লোরিডার পোর্ট সেন্ট লুসিতে। তিনি একজন মার্কিন নাগরিক এবং তার বাবা-মা আফগান।
অবশ্য আলজাজিরা জানিয়েছে, ওমর মতিন নিউইর্য়কে জন্মগ্রহণ করেছেন।
পুলিশ অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ওমর মতিনকে সনাক্ত করেনি।
তার নাম এর আগে কোনো সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল না। তবে অন্য একটি অপরাধমূলক ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল - যেটির সঙ্গে নাইটক্লাবে আক্রমণের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা রোনাল্ড হপার বলছেন, আমরা আভাস পাচ্ছি যে, লোকটির উগ্রপন্থী ইসলামী আদর্শের দিকে ঝোঁক ছিল। যদিও তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।'
মনে করা হচ্ছে, আক্রমণকারী একাই ছিল এবং সে এ এলাকার স্থানীয় কোনো বাসিন্দা নন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের বর্ণনা থেকে জানা গেছে, পালস নামের নৈশক্লাবটি শহরের সমকামীদের একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানেই স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে আক্রমণ চালায় বন্দুকধারী।
হামলাকারীর হাতে ছিল দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। একটি ছিল এ্যাসল্ট রাইফেল আর অপরটি হ্যান্ডগান। এছাড়া তার গায়ের সঙ্গে 'বিস্ফোরক জাতীয় কিছু' বাঁধা ছিল।
এর আগে বলা হয়েছিল, আক্রমণকারী সুইসাইড ভেস্ট বা আত্মঘাতী হামলাকারীরা যে ধরনের বিস্ফোরকভর্তি পোশাক পরে তা পরা ছিল।
বন্দুকধারী নাইটক্লাবের ভেতরে চারদিকে নির্বিচারে গুলি করতে থাকে এবং কিছু লোককে জিম্মি করে।
প্রথম গুলিবর্ষণের প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য নাইটক্লাবের ভেতরে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভেতরে ঢোকার পর বন্দুকধারীর সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয় এবং একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হয়।
এরপর পুলিশ আক্রমণকারীর গায়ে বাঁধা বস্তুটির একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়। সূত্র : বিবিসি
১২ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম