আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ কি ঘটনা, তাইওয়ানের আদালতের কাঠগড়ায় গলায় কাঁচি চালাল এক মার্কিন যুবক! নেশাজাতীয় গাছ উত্পাদনের অপরাধে তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন তাইওয়ানের আদালত।
কিন্তু সেই রায় শুনে আদালত কক্ষেই আত্মঘাতী হলেন আমেরিকার নাগরিক টাইরেল মার্টিন মারহাঙ্কা (৪১)।
বছর ১৫ আগে নিজের দেশ ছেড়ে তাইওয়ানে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন মার্কিন নাগরিক মারহাঙ্কা। স্থানীয়দের ইংরেজি ভাষা শিখিয়ে দিন গুজরান হতো। বিয়ে করেছিলেন এক তাইওয়ান কন্যাকে।
তাদের দুই সন্তান রয়েছে। মধ্য তাইওয়ানের চ্যাংহুয়া প্রদেশে জমি ভাড়া নিয়েছিলেন মারহাঙ্কা। সেখানে রীতিমতো আফিং ও গাঁজার চাষ করছিলেন।
খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় মারহাঙ্কা জানিয়েছিলেন, নিজের নেশার জন্যই চাষ এগুলোর করেন। এ অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার চ্যাংহুয়া জেলা আদালতে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মারহাঙ্কাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কিন্তু রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের গলায় কাঁচির ফলা বসিয়ে দেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
এদিকে আদালত কক্ষে আসামির আত্মহত্যা ঘিরে তাইওয়ানজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। আদালতের দাবি, পত্রিকার পাতায় কাঁচির ফলা লুকিয়ে এজলাসে হাজির হয়েছিলেন মারহাঙ্কা।
আদালতের মেটাল ডিটেক্টর মারহাঙ্কার শরীরে ধাতুর উপস্থিতি কী কারণে বুঝতে পারেনি, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে মতান্তর। মৃতের থেকে পত্রিকা ও কাঁচির ফলা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আদালত কক্ষে মৃত্যুর জেরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মারহাঙ্কার মৃত্যুর পর প্রবেশদ্বারে দু'টি এক্স-রে স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
১৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম