সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬, ১২:৩৬:৫৩

১৫ কোটি ডলার পেলেই সরে দাঁড়াবেন ট্রাম্প?

১৫ কোটি ডলার পেলেই সরে দাঁড়াবেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। রাজনীতিটাও তাঁর জন্য একধরনের ব্যবসা। সে কথা মাথায় রেখেই হয়তো ট্রাম্পের একজন সাবেক উপদেষ্টা বলে ফেললেন, হাতে পনেরো কোটি ডলার নগদ তুলে দিলে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।
রিপাবলিকান নেতৃত্ব এই ভেবে শঙ্কিত, ট্রাম্প দলের প্রার্থী হলে শুধু তাঁরা হোয়াইট হাউসই হারাবেন না, সিনেটে তাঁদের চলতি নিয়ন্ত্রণও ফস্কে যাবে। এই অবস্থায় তাঁকে বাদ দেওয়ার নানা ফন্দি-ফিকির খোঁজা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ট্রাম্পের একজন সাবেক উপদেষ্টা জিম ডরনান বলেছেন, দরদামে পড়তা হলে ট্রাম্প দলের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে সম্মত হবেন। রিপাবলিকান দলের সমর্থক এমন একাধিক ধনকুবের সানন্দেই সে টাকা সংগ্রহে সাহায্য করবেন।
ট্রাম্প নিজে অবশ্য ক্ষোভের সঙ্গে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর প্রচারণা ব্যবস্থাপক করি লেয়ানডস্কি বলেছেন, ট্রাম্পকে টাকা দিয়ে কিনবে, এমন ধনবান কেউ নেই। কোনো অবস্থাতেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
পোড়খাওয়া সাংবাদিকদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ঘাগু ব্যবসায়ী ট্রাম্প নিজের দাম বাড়াতে এখন ‘না না’ করছেন। সত্যি সত্যি যদি দলীয় সম্মেলনে তাঁকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা দানা বাঁধে, তিনি ‘চুক্তি’ করতেও পারেন।
এদিকে এনবিসি টিভির জনপ্রিয় কমেডি শো ‘লেট নাইট’-এর উপস্থাপক সেথ মায়ার্স প্রস্তাব করেছেন, ট্রাম্প সরে দাঁড়ালে এই টিভি নেটওয়ার্কে তাঁকে ১৩টি অনুষ্ঠানের হোস্ট করা হবে। ঠাট্টা করেই কথাটা বলা। তবে অনেকেই মনে করেন, টিভি ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজের দর বাড়াতেই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তিনি যে ১৬ জন বাঘা বাঘা রাজনীতিককে পরাস্ত করে দলীয় মনোনয়ন পাবেন, গোড়াতে নিজেই হয়তো তা বিশ্বাস করেননি।
স্যান্ডার্স এখন কী করবেন?
এদিকে ডেমোক্র্যাট দলের লড়াইয়ে বাছাই পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও ভারমন্টের ‘সমাজতন্ত্রী’ সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এখনো পরাজয় স্বীকার করছেন না। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বেও হিলারি ক্লিনটনকেও তিনি সরাসরি অনুমোদন দেননি। শুধু বলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাস্ত করতে দরকার এমন সবকিছু করতে তিনি প্রস্তুত।
অধিকাংশ পর্যবেক্ষকের ধারণা, স্যান্ডার্স দলীয় ইশতেহারে তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ, যেমন ঘণ্টাপ্রতি ন্যূনতম মজুরি, নির্বাচনে অর্থের ভূমিকা সংকোচন, পুঁজিপতিদের ঘাঁটি ওয়ালস্ট্রিটের দাপট খর্ব ইত্যাদির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে চান। দলের গঠনতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিও তিনি করেছেন। তবে, আপাতনিরীহ এসব দাবি ছাড়াও স্যান্ডার্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা চাইছেন। নিদেন পক্ষে সিনেটে কোনো উল্লেখযোগ্য কমিটির সভাপতিত্ব।
বৃহস্পতিবার সমর্থকদের উদ্দেশে এক ওয়েব ভাষণে স্যান্ডার্স নিজেই তাঁর রণকৌশল ভেঙে বলেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে পরাস্ত করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তৃণমূলভিত্তিক যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছি তার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন। আমি ইতিমধ্যে ১৯০০-এরও বেশি ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছি। তাদের সম্মিলিত শক্তি নিয়ে আমরা ফিলাডেলফিয়ার সম্মেলনে হাজির হব।-প্রথম আলো
২০জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে