আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত পাকিস্তানের খাইবার পাকতুনখাওয়ার ‘দারুল উলুম হাক্কানি নওসেরা’ মাদ্রাসাটি। দেশটির জঙ্গি অধ্যুসিত এলাকায় অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি ‘ইউনিভার্সিটি অব জিহাদ’ পরিচিত সকলের কাছে। আর সেই বিতর্কিত মাদ্রাসায় ৩০ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তান সরকার। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
এই মাদ্রাসকে কেন বলা হয় জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়? কারণ এই মাদ্রাসা থেকেই পড়াশোনা করেছিলেন তালিবান নেতা মোল্লা ওমর, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন হাক্কানি, আল কায়দা নেতা অসিম উমর ও তালিবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুরের মতো জঙ্গি নেতা। আসলে মাদ্রাসাটির নাম হল ‘দারুল উলুম হাক্কানি নওসেরা’। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন একটি মাদ্রাসা।
পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে এই অভিযোগ অনেক পুরোনো। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সব অভিযোগ উড়িয়ে ওই বিপুল টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে ওই বিতর্কিত মাদ্রাসাকে। সম্প্রতি ওই অনুদান দেওয়ার কথা স্বীকার করে খাইবার পাকতুনখাওয়ার মন্ত্রী শাহ ফারমান বলেন, ওই অনুদান পেয়ে আমরা খুশি।
খাইবার পাকতুনখাওয়ার মন্ত্রী হবিবুর রহমান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রাচীন ওই মাদ্রাসাটি দেশের অন্যতম একটি বৃহত্তম মাদ্রাসা। তাই মাদ্রাসাটি অনুদান পাওয়ার যোগ্য। রহমান বলেন ২০১৬-১৭ সালে ১৫০ মিলিয়ন টাকা দেওয়া হবে। বাকী টাকা দেওয়া হবে পরের বছর।
১৯৪৭ সালে মাদ্রাসটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার প্রধান মৌলানা সামিউল হক। তিনি পাকিস্তানের ৪০টি সংগঠনের প্রধান। ওই সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে হাফিজ সইদের জামাত উদ দাওয়া।
২০ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন