আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বন্ধুদের সঙ্গে নাইট আউটে বেরিয়ে প্রাণ গেল যুবকের। গতকাল সকালে বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন রোমিত মণ্ডল। সোনারপুরের বাসিন্দা রোমিতকে শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় চার বন্ধু, চিরঞ্জিত নন্দী, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, সুরজিত্ নস্কর ও শুভজ্যোতি নস্কর। বাড়ির পোশাকেই চিরঞ্জিতের গাড়িতে বেরিয়ে যায় রোমিত। গাড়ি চালাচ্ছিল চিরঞ্জিত । কোলাঘাট যাওয়ার প্ল্যান ছিল । কিন্তু, প্ল্যান বদলে তারা পৌছয় পার্কসাকার্সের বিরিয়ানির দোকানে। বিরিয়ানি কিনে গাড়িতে ৫জন পৌছে যায় চিরঞ্জিতের ম্যাডক্স স্কোয়ারের অফিসে। খাওয়া দাওয়া শুরু হয়। বন্ধুদের দাবি, সেসয়মই বাইকে ওই জায়গায় পৌছয় কয়েকজন যুবক। রোমিত ও বন্ধুদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় বহিরাগত ওই যুবকদের। বচসা গড়ায় মারামারিতে।
বন্ধুদের দাবি, সেসময়ই রোমিতদের গাড়ি লক্ষ্য করে কংক্রিটের স্ল্যাব ছুঁড়ে মারে ওই যুবকরা। মাথায় আঘাত লাগে রোমিতের। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে শিশুমঙ্গল ও পরে বাইপাসের ধারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে মারা যায় রোমিত। রাতের ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী আছে কী না তা খুঁজে দেখা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই সিসিটিভির ফুটেজ জোগাড় করেছে পুলিস। বন্ধুদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রোমিতের পরিবার।
রোমিত মণ্ডলের মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। রোমিতের মাথার আঘাতের ধরণ নিয়ে চিকিত্সকরা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে মিলছে না বন্ধুদের দাবি। রোমিতের বন্ধুরা বলছেন, সেদিন রাতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের সামনে ১০-১৫ জন যুবকের সঙ্গে মারামারি বেধে যায় তাঁদের। পালানোর সময় তাঁদের আই টেন গাড়ি লক্ষ করে কংক্রিটের স্ল্যাব ছুঁড়ে মারে বহিরাগত ওই যুবকরা। তাতেই মাথায় আঘাত লাগে রোমিতের। কিন্তু, চিকিত্সকরা বলছেন রোমিতের মাথায় ভারী কোনও পাথরের দিয়ে নয়, আঘাত করা হয়েছে ধারালো ও সরু কোনও রড দিয়ে। বন্ধুদের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলছে পরিবার। এবার হাসপাতালের রিপোর্টের পর তাদের ভূমিকা ঘিরে আরও রহস্য দানা বাঁধছে।-জিনিউজ
২২ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ