নিউজ ডেস্ক: সে জানে, পড়াশোনাটা তাঁকে করতেই হবে। সে এ-ও জানে, দু-পয়সা উপার্জনও সমান জরুরি। পড়াশোনাটা না-করলে, দারিদ্র্যের চিরকালীন অন্ধকার যে ঘুচবে না, ছোট্ট বয়সেই সে বুঝে গিয়েছে। এ-ও বুঝেছে, পড়াশোনার সঙ্গ পেতে দিনশেষে কিছু টাকা নিয়ে ঘরে ঢুকতে হবে।
তাই ব্যালন্স করেই চলছে সে। জীবনটাই তো এমন, ট্রাপিজের খেলার মতো, অদৃশ্য সুতোয় ঝুলছে। যারা এই সারসত্য বুঝেছে, তারা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। সবাই যে সবকিছু পারবে, তা তো নয়। কেউ কেউ পারে, কেউ পা ফস্কায়।
চাইলে ভিক্ষের হাত বাড়াতে পারত। কিন্তু, আত্মমর্যাদা বোধ তাকে সে হাত বাড়াতে দেয়নি। গরিবির এই অহংকারটাও কিন্তু বড় হয়ে ওঠারই লক্ষণ।
যদি নয়াদিল্লির মেট্রোয় চড়ার অভ্যেস থাকে, তা হলে, নিশ্চিত একদিন না একদিন দেখা হবেই হবে সেই কিশোরের সঙ্গে। অবশ্যই যদি কষ্ট করে, কোনও সন্ধ্যায় (সন্ধে ৭টা) নয়ডা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যান। মেট্রো স্টেশনের বাইরেই দেখবেন, পথের আলোয় নিমগ্ন কিশোর, তার স্কুলপাঠ্যে। পাশে রাখা ওজনের যন্ত্রটি। অফিসফেরত, ঘরমুখী কখনও কারও ইচ্ছেখেয়াল হলে, উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিনিময়ে হাতে কিছু টাকা। তাতেই সে খুশি।
একটাই অনুরোধ, সাহায্য করুন এই পরিশ্রমী পড়ুয়াকে। তবে, প্লিজ প্লিজ প্লিজ পথের ভিখারি বানিয়ে দেবেন না তাকে। তার আত্মমর্যাদাকে দাম দিন। প্রয়োজন না-থাকলেও, শুধু তারা পড়াশোনায় সাহায্য করছেন ধরে নিয়ে উঠে পড়ুন পাশে রাখা ভারবাহী ছোট্ট যন্ত্রটায়। আপনার দেওয়া ষোলয়ানাতেই সে বুনবে ভবিষ্য-ষোলকলার বনিয়াদ। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ