আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এও এক 'বাজরাঙ্গি ভাইজানে'র গল্প। ঘরছাড়া কিশোরকে নিজের দেশে ফিরিয়ে দিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ছাত্র হামজা বাসিত। পাঁচ বছর পর অবশেষে ঈদের দিনেই পাকিস্তানে মায়ের কাছে ফিরে গেল ১৫ বছরের মোহাম্মদ রমজান। ঈদের খুশি সাক্ষী থাকল ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের এক অন্য মৈত্রীর।
২০১০-এ মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছেন রমজানের। তখন তার ১০ বছর বয়স। ছেলেকে নিয়ে পাকিস্তানের মুসা কলোনি ছেড়ে বাংলাদেশ চলে আসেন রমজানের বাবা মোহাম্মদ কাজোল। বাংলাদেশেই আবার বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সত্ মায়ের অত্যাচারে একদিন বাড়ি থেকে পালায় রমজান। দেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে ছোট্ট ছেলেটা।
কিন্তু কী ভাবে দেশে মায়ের কাছে ফিরে যাওয়া যাবে, তা বুঝতে না পেরে এদিক-ওদিক ঘুরতে থাকে। এভাবেই একদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতের রাঁচিতে আসে সে। রাঁচি থেকে মুম্বাই, সেখান থেকে দিল্লি। অবশেষে পুলিশের নজরে পড়ে রমজান। ২০১৩-র অক্টোবর থেকে সরকারি হোমে ছিল সে।
খবরের কাগজে রমজানের কথা জানতে পারেন চার্টাড অ্যাকাউনটেন্সির ছাত্র হামজা বাসিত। রমজানের সঙ্গে দেখা করে, তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেন বছর ২০-র এই ছাত্র। ফেসবুক, মাইক্রোব্লগিং, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়ে যায় রমজানের কথা। পাকিস্তান থেকে সাড়া আসে মাত্র ১১ দিনেই। পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী হারিয়ে যাওয়া এই কিশোরের ছবি পাকিস্তানের মুসা কলোনির দেওয়ালে সেঁটে দেয়। রমজানের সত্ বাবা সেই ছবি দেখে নিজের স্ত্রীকে জানান। ছেলে ফিরে পাওয়ার আশায় আত্মহারা বেগম রাজিয়া ভারতে ফোন করেন। সূত্র : ইন্ডিয়াটাইমস
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি