আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্রিটেন থাকবে, না বেরিয়ে যাবে? সেই টানাপড়েন থেকেই এই শব্দ। ব্রিটেন (Britain) আর এক্সিট (exit) মিলিয়ে ব্রেক্সিট। যেমন ছিল গ্রিসের ক্ষেত্রে— গ্রেক্সিট।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী?
২৮টি দেশের জোট। আর্থিক সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে পথ চলা শুরু ১ নভেম্বর ১৯৯৩ থেকে। ভিসা ছাড়া যাতায়াত। সদস্য দেশে থাকতেও বাধা নেই।
কাদের ভোট: ব্রিটিশ, আইরিশ এবং কমনওয়েলথের নাগরিক, ১৫ বছরের কম সময় বাইরে থাকা ব্যক্তি।
ছাড়ার যুক্তি: কোটি কোটি পাউন্ড গুনেও প্রাপ্তি সামান্য। ঘাড়ে চাপছে দেউলে দেশগুলোর দায়। ব্যবসায় একাধিক শর্ত। অভিবাসীরা কাজ পাওয়ায় ক্ষোভ। অবাধ যাতায়াতে সন্ত্রাসের আশঙ্কা।
থাকার যুক্তি: অবাধ রফতানি। অন্য দেশ থেকে দক্ষ কর্মীর জোগান। জোট হিসেবে বড় আর্থিক শক্তি। ইইউ ছাড়লে কমবে লগ্নির আকর্ষণ, দুর্বল হবে সন্ত্রাস-দমন যুদ্ধ।
ছাড়ার পক্ষে: লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসন। সম্ভাব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি,’ ৫ মন্ত্রী-সহ অনেক কনজারভেটিভ এমপি। বেশ কিছু লেবার এমপি-ও।
থাকার পক্ষে: ডেভিড ক্যামেরন, তাঁর ১৬ মন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিন্টন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ফ্রান্স, চিন, ভারত।
অবস্থা কী: একাধিক সমীক্ষায় জোটে থাকার পক্ষেই পাল্লা ভারী।
ভারতে প্রভাব: ব্রেক্সিটে বাড়তে পারে ডলারের দাম। অস্থির বিশ্ব অর্থনীতির ধাক্কা শেয়ার বাজারে। উদ্বেগ লগ্নিকারীদের।
২৩জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর