আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৩২তম বৈঠকে মিয়ানমার সরকার বলেছে, ‘রাখাইন রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা’ এই বাক্যটি পরিবর্তন করে 'রোহিঙ্গা' বা 'বাঙ্গালী' শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ব কমাতে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের এক সভায় মিয়ানমারের সরকার ‘অং সান সুচি’ এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেয়। খবর ইকনা।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) প্রধান ‘অং সান সুচি’ সর্বশেষ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে।
মিয়ানমারের সরকারের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে আরাকান ন্যাশনাল পার্টি এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, রোহিঙ্গা (মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবৈধ অধিবাসী হিসেবে গণ্য করে) মুসলমানদের জন্য যদি বাঙ্গালী শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা মস্ত বড় ভুল হবে। কারণ তারা রাখাইন প্রদেশেরে আদিবাসী।
হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত কমিটি মিয়ানমারে ভ্রমণ করলে আরাকান ন্যাশনাল পার্টি এই বিবৃতি ব্যক্ত করে।
মিয়ানমারের সরকার সেদেশের চরমপন্থি বৌদ্ধের সমর্থনে সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেরে নিয়েছে এবং তাদেরকে বাঙ্গালী অভিবাসী হিসেবে অবিহিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করছে এবং তাদেরকে বস্তুচ্যুত করছে।
২৩ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই