আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার এখন একটাই প্রশ্ন, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনই। জুয়ার বাজিতেও এগিয়ে তিনি। এক বছর আগে কনজারভেটিভ দলকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এনেছিল তার বাক্পটুতা। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। এবার ব্রেক্সিট–এর পিছনেও রয়েছে তারই প্রচার।
গত ফেব্রুয়ারিতে আচমকা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ব্রেক্সিট–এর পক্ষে প্রচার শুরু করেন। জনসভায় এককালে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যামেরনের বিরুদ্ধেই একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন। গোটা ব্রিটেনে সাড়া ফেলে দেন। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে নাকি দারুণ দোটানায় পড়েছিলেন ৫২ বছরের কনজারভেটিভ নেতা।
একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং দলের বিরুদ্ধে যাওয়াটা খুব সহজ ছিল না। দারুণ কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু ব্রিটিশদের স্বার্থ, দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তবে চাইব, গণভোটের পর ক্যামেরনের নেতৃত্বেই সরকার চলুক।’
যদিও শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আটঘাট বেঁধেই প্রচারে নেমেছেন জনসন। গণভোটে হারের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। তখন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকতে কোনও বাধা থাকবে না। জনসন অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
তবে জানান, পদটি ফাঁকা হলে তার বসতে আপত্তি নেই। উচ্চ–মধ্যবিত্ত ব্রিটিশ পরিবারের ছেলে জনসনের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তখন তার বাবা সেদেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে অলিম্পিকের সময় লন্ডনের মেয়র ছিলেন তিনি। সফলভাবে অলিম্পিকের আয়োজন করে বিদেশি রাষ্ট্রের বাহবা কুড়িয়েছিলেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হলেও জনসনের তখ্ত নিষ্কণ্টক হবে না। পথ তিনিই দেখিয়েছেন। ভবিষ্যতে তার মতোই কোনও ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেতে পারেন মন্ত্রীরা। দ্বিধাবিভক্ত হতে পারে কনজারভেটিভ দল। এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজরও। অক্টোবরে কনজারভেটিভ দলের কনফারেন্স। সেখানেই স্থির হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম।
২৫ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস