আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পরিবারের 'সম্মান রক্ষা'র নামে নিজের হাতে মেয়েকে শ্বাস রোধ করে মারলেন বাবা। বাধা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল নাবালিকার মা ও ঠাকুমার বিরুদ্ধেও। তেলেঙ্গানার আদিলাবাদের এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, অন্য ধর্মের একটি ছেলের প্রেমে পড়েছিলেন ১৭ বছর ওই তরুণী। বাড়িতে তা জানাজানি হতেই পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। ওই তরুণীর বাবা ধরেই নিয়েছিলেন, মেয়ে বাড়ি থেকে পালাবে। তাই পরিকল্পনা করে শনিবার ভোররাতে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে শ্বাস রোধ করে মারেন।
অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাতে ওই তরুণীই তাঁদের বাড়িতে প্রেমিককে আসতে বলেছিলেন। ছেলেটি এলে মেয়েটির বাবা লক্ষ্মণ সিংয়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ওই ঘটনার পরেই নাবালিকার বাবা, মা ও ঠাকুমা একসঙ্গে বসে মেয়েকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা মতো শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টা নাগাদ মেয়েরই দোপাট্টার ফাঁসে শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলন লক্ষ্মণ।
জেরায় লক্ষ্মণ পুলিশকে জানান, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এই সম্পর্কে বাধা দিলেও, মেয়ে শুনবে না। ওই ছেলেটির হাত ধরেই বাড়ি থেকে পালাবে। তাতে পরিবারের সম্মানহানি হবে আশঙ্কা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আদিলাবাদের এই দম্পতির আরও দুই মেয়েও রয়েছে।-এই সময়
২৬জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর