আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিড়দাঁড়া সোজা করে বাঁচতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই বছর দুয়েক আগে তিনি সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। বেঙ্গালুরুর প্রথম মহিলা ট্যাক্সিচালক ভারতী ভিরত।
দু’বছর পর সেই তিনিই ফের খবরের শিরোনামে। তবে এবার আর অন্য রকমভাবে বাঁচার জন্য নয়, বরং রহস্যজনক মৃত্যুর জন্যই এবার তিনি সংবাদ শিরোনামে।
সোমবার রাতে বেঙ্গালুরুর যে বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন, সেখান থেকেই ভারতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
বেঙ্গালুরুর ওই ভাড়াবাড়িতে একাই থাকতেন ৩৯ বছরের ভারতী। বছর দশেক আগে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়াবেন বলে।
প্রথমে দরজির কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখানেই গাড়ি চালানো শিখেছিলেন।
পরে এ দেশে যখন উবের চালু হয়, তখন ওই সংস্থার হয়েই গাড়ি চালানো শুরু করেন ভারতী। তবে সম্প্রতি তিনি নাকি ফের অন্ধ্রপ্রদেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন ওই ভাড়াবাড়ির মালিক।
যেভাবে ছাদ থেকে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে পুলিশ ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।
তবে ওই ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। বাড়ির মালিকই প্রথম তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়েছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
রোববার রাতের পর আর ভারতীকে দেখতে না পেয়ে তিনি সোমবার রাতে তার ঘরে গিয়েছিলেন খোঁজ-খবর নিতে।
তখনই বাইরের জানালা থেকে ভারতীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন তিনি।
০২৮জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম