আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর-পূর্ব সার্বিয়ার একটি ক্যাফেতে এলোপাথাড়ি গুলি করে স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করেছে এক স্বামী। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। দেশটির স্রেনিয়ানিন শহরের সিতিসের এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গেফতার করা হয়েছে জড়িত থাকা জে এস নামের আদ্যাক্ষরই জানিয়েছে পুলিশ) নামে ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ চলছিল। তার স্ত্রী সংসারের প্রতি একদমই উদাসিন। কিন্তু, তিনি পার্টিতে যাচ্ছেন। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ওই স্বামী। আর ক্ষোভ মেটাতে স্ত্রীকে শাস্তি দিতে ছুটে যান ওই ক্যাফে। এরপরই ঘটে ওই ঘটনা।
এদিকে, ঢাকার রেস্তোরাঁয় হামলার পর সার্বিয়ার ক্যাফেতে হামলার ঘটনা নিয়ে সাড়া পড়ে যায়। পরে জানা যায়, পুরোটাই ব্যক্তিগত রাগ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল রাত ১টা ৪৫ নাগাদ সিতিসের মাকিয়াতো ক্যাফেতে ঢুকে হামলা চালায় ৩৮ বছর বয়সি জে এস। হাতে ছিল কালাশনিকভ বন্দুক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে স্রেনিয়ানিন শহরের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্ভেতোসার মানয়লোভিচ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘গানের তালে তালে নাচছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আশপাশের লোক চিৎকার শুরু করে। আমার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা দুই মহিলার গায়ে গুলি লাগে। কোনওমতে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে দৌড়তে শুরু করি।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হামলাকারী প্রথমে একবার ক্যাফেতে ঢোকে। স্ত্রীয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে বেরিয়ে যায়। পরে বন্দুক হাতে ফিরে আসে। প্রথমে স্ত্রী এবং তার সঙ্গী দুই মহিলাকে গুলি করে সে। তারপর বাকিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।’
প্রসঙ্গত, গতকালই বেআইনি অস্ত্র আটকাতে নির্দেশিকা জারি করেছিল সার্বিয়া সরকার। ’৯০-এর দশকে বলকান যুদ্ধের পর থেকে বেআইনি অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত সে দেশে। গতকাল হামলায় ব্যবহার হওয়া বন্দুকটিও বেআইনি বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
৩ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন