আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
সিরীয় সীমান্তের কিলিস প্রদেশে এক ইফতার মাহফিলে শনিবার বলছিলেন এরদোগান বলনে, ‘আমি কিছু শুভ সংবাদ ঘোষণা করতে চাই। আমরা আমাদের সিরীয় বন্ধুদের সহায়তায় একটি সুযোগ দিতে চাই- চাইলে তারা তুরস্কের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন’।
নাগরিকত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহসাই ঘোষণা করবে বলে জানান এরদোগান। কিলিসে সিরীয় শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিজেদের ভাই-বোনের মত মনে করি। আপনারা জন্মভূমি থেকে দূরে নয়। তবে বাড়ি এবং জমিজমা থেকে দূরে… তুরস্ক আপনাদের জন্মভূমি’।
এই শহরে ১,২০,০০ সিরীয় শরণার্থী বাস করছে, যা শহরটি মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। শরণার্থীদের প্রতি নজিরবিহীন মানবিকতা দেখানোর জন্য এই শহরটিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার দাবিও উঠেছে।
তুরস্কে ২৭ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী রয়েছে, যা বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। তুরস্ক সরকার তাদের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে।
তবে সিরিয়ার সব শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে কিনা কিংবা কী শর্তে নাগরিকত্ব দেয়া হবে তা বিস্তারিত জানাননি প্রেসিডেন্ট।
তুরস্ক সিরীয় শরণার্থীদের ‘অতিথি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং এরদোগান বলেছেন, তুর্কি নাগরিকরা সিরীয় ভাই-বোনদের জন্য খাবার টেবিলে অতিরিক্ত একটি প্লেট রাখেন।
তুরস্কে ৩ লাখের মত ইরাকি শরণার্থীও রয়েছে।
সিরীয় স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের দাবিতে ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর দেশটির ১ কোটি লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে ৪০ লাখ সিরীয় আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
সিরীয় সংঘাতে আড়াই লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা
০৪ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম