বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০:০৯

আইএসে যোগ দিতে বাধা দেয়ায় মাকে হত্যা, দুই ভাই গ্রেপ্তার

 আইএসে যোগ দিতে বাধা দেয়ায় মাকে হত্যা, দুই ভাই গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে বাধা দেয়ায় মাকে হত্যার পর দুই যমজ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

২৪ জুন ওই হত্যাকাণ্ড হয়।  এ ঘটনার পর ইসলামপন্থি জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে সৌদি আরববাসীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এর মধ্যে সোমবার মদিনায় মহানবী (সা.) এর মসজিদ হিসেবে খ্যাত মসজিদে নববীর কাছে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে।

২৪ জুনের ওই হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যমজ দুই ভাই খালেদ ও সালেহ আল-ওরাইনি রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত তাদের নিজ বাড়িতে ৬৭ বছর বয়সী মা হাইলা, ৭৩ বছর বয়সী বাবা ও ২২ বছর বয়সী ভাইকে ছুরি মেরেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সৌদি গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের মা হিলা মারা যান।

বাবা,-মা ও ভাইকে ছুরি মারার পর ২০ বছর বয়সী দুই ভাই খালেদ ও সালেহ সীমান্ত পেরিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

হাইলা তার দুই সন্তানকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যেতে বাধা দিয়েছিলেন বলেও গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে বাবা ও ভাইয়ের বর্তমান অবস্থা জানার চেষ্টা করা হয়েছিল।  কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি রয়টার্সকে বলেন, ওই যমজ দুই ভাই তাদের মাকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  মামলাটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

তবে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছি তা হলো ওই দুই ভাই তাকফিরি মতবাদের অনুসারী।  এর চেয়ে আর কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে ২০ বছর বসয়ী ওই দুই যমজ বা তাদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।  কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি।

ইসলামিক স্টেট বা ধর্মীয় কোনো বিষয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তারা মাকে হত্যা করেছে অথবা তাদের মা তাদের ঠিক কি বলেছেন সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

২৬ জুন সৌদি ওয়েবসাইট আখবার২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে গত বছরের জুলাইয়ের পর সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতে পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার এটি পঞ্চম ঘটনা।।
৫ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে