আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে ট্রেন থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে আটক মসিউদ্দিন মিয়া ওরফে মুসার সঙ্গে আইএস যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা৷ সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ রয়েছে বলে জেরার পর সন্দেহ পুলিশের৷ একইসঙ্গে খাগড়াগড় কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমজাদ আলিরও সহযোগী হিসাবে মুসা কাজ করত বলে গোয়েন্দাদের ধারণা৷
বীরভূমে বড়সড় নাশকতার ছকও সে কষছিল বলে জেরায় জানা গিয়েছে৷ বর্ধমানে রাতভর জেরার পর মসিউদ্দিনকে আজই ভবানীভবনে নিয়ে আসছে সিআইডি৷ জেরায় তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে৷ ভবনীভবনে জেরার পর মুসাকে গ্রেফতার করতে পারে সিআইডি৷ বীরভূমে মুসার আরও দুই সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে৷
ট্রেনের বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের কামরা থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে বর্ধমান স্টেশন থেকে মসিউদ্দিনকে গতকাল রাতেই আটক করা হয়৷ জানা গিয়েছে, সোমবার ধর্মতলা থেকে কিছু অস্ত্রশস্ত্র কিনে ট্রেনে উঠেছিল সে৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ গোয়েন্দারা তাকে অনুসরণ করেন৷ এনআইএ গোয়েন্দারা বর্ধমান জেলা পুলিশ ও জিআরপিকে খবর দেন৷
বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছানো মাত্র পুলিশ ঘিরে ফেলে ট্রেনটিকে৷ মুসাকে আটক করার পর বর্ধমান স্টেশনে শুরু হয় জেরা৷ সিআইডির কর্মকর্তারাও চলে আসেন৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে দীর্ঘদিন ছিল মুসা৷ বর্তমানে বীরভূমের লাভপুরে থাকত৷ এনআইএ-র কাছে খবর ছিল জঙ্গি যোগ রয়েছে দক্ষিণ ভারতের এক যুবক নানুরে রয়েছে৷ খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আমজাদ আলিকে নাশকতামূলক কাজে মুসা সাহায্য করেছিল বলে পুলিশের অভিযোগ৷ সেইমতো এনআইএ সন্ধান শুরু করে৷ মুসার বাড়িতে আসার খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে৷ তার কাছ থেকে একটি ভোজালি ও এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর৷
প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে মসিউদ্দিনের৷ বিদেশ থেকে তার কাছে নিয়মিত টাকাও আসত৷ বীরভূমে কোনও গণহত্যার পরিকল্পনাও ছিল বলে তদন্তে মনে করছে কলকাতা পুলিশ৷ মুসাকে দফায় দফায় জেরা করে এই বিষয়গুলির সত্যতা নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, আটটি ভাষা জানত মসিউদ্দিন৷
৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস