নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ নয়, আগামী দিনে ভারতের আইএসের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানের ক্ষেত্রে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে মালদ্বীপ৷ ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এমনই একটি গোপন রিপোর্ট পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ গোয়েন্দা দফতর ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)৷ ‘এশিয়ান এজে’র খবর বলছে, মালদ্বীপের বুকে এই মুহূর্তে ইসলামিক স্টেটের অন্তত ৫০০ জন সমর্থক রয়েছে৷ এছাড়া, সেখান থেকে যারা আইএসআইএসের ঝান্ডার তলায় ইরাক ও সিরিয়ায় লড়তে গিয়েছে, তারা তো আছেই৷ এই রিপোর্টের বয়ান অনুযায়ী, ‘‘আইএসআইএস সফলতার সঙ্গে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে৷ ওই দ্বীপরাষ্ট্রের যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করছে৷ এবং, ভবিষ্যতে আপন নেটওয়ার্ককে আরও ছড়িয়ে দিতে তারা বদ্ধপরিকর৷’’ সেইসঙ্গে আরও একটা কথা এই গোপন রিপোর্ট জানিয়েছে৷ আইবি-র মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইএসের চাইতেও প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ অর্থাৎ জেএমবি৷
আরও পড়ুন: চতুর্থ দফার আগে ফের রাজ্যে মোদী
আইবি-র এই রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের মত অনেকটাই মিলে যায়৷ বাংলাদেশের অভিজাত এলাকা গুলশনের রেস্তরাঁয় হামলার পর তাঁরাও বলেছেন, এর পিছনে রয়েছে জেএমবি৷আইএস এর ‘কৃতিত্ব’ দাবি করছে প্রতিবেশী দেশে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য৷
আরও পড়ুন: জবরদখল হটানোর অভিযানে নিহ্ত অন্তত ২১
আইবি-র এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘মালদ্বীপের গোয়েন্দারা সেদেশে আইএসের কারবার সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল৷ তাদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে তাঁরা এর মধ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছেন৷ কিন্তু যেহেতু এদেশেও আইএস চুপিসাড়ে নিজেদের থাবা বাড়াতে তৎপর, তাই মালদ্বীপে তাদের কাজ-কারবার সম্পর্কে আমাদেরও উদাসীন থাকা চলে না৷’’ সন্ত্রাস মোকাবিলায় এদেশে যেসব গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে সেগুলির বহু অফিসারই একমত যে, আগামী দিনে এদেশে আইএসের তৎপরতা আরও বাড়বে৷ আশার কথা একটাই, মালদ্বীপের তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে আইএসআইএস সমর্থকের সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্রে তারা তেমন মারাত্মক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেনি, যার মাধ্যমে কোনও চোরাগোপ্তা নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাতে পারে৷-কলকাতা২৪
৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস