নিউজ ডেস্ক: সোমবার সৌদিতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পরই দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
একই দিন পবিত্র নগরী ছাড়াও আরো দুটি শহরে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে জঙ্গীরা।
সোমবার দুইটি শহরে ব্যর্থ হামলার পরই মদিনার হামলায় সফল হয় আত্মঘাতী হামলাকারীরা। জেদ্দা এবং কাতিফ শহরের হামলায় আত্মঘাতীরা নিহত হয়েছে। কিন্তু মদিনায় হামলার ঘটনায় আত্মঘাতী হামলকারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও এ ঘ্টনায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে, ওই হামলায় পাকিস্তানি এক নাগরিকের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পবিত্র মক্কা ও মদিনা রক্ষার দায়িত্ব সৌদি রাজ পরিবারের। তারা সব সময় জনসাধারণের উপকারের কথা চিন্তা করেন। পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র নগরীতে এ ধরনের হামলায় গোটা সৌদি আরব যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে।
সাধারণ নাগরিকদের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বাদশাহ সালমান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সৌদি। যারা এধরনের চিন্তা বা কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। কেউ তরুণদের জঙ্গি মনোভাব ও কর্মকাণ্ডের প্রতি আকৃষ্ট করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও হুশিয়ার করেছেন বাদশাহ সালমান।
সৌদির ওই হামলার ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে শুক্রবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালানো হয়।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকে চালানো ওই হামলায় ২ পুলিশ সদস্য, ১৭ বিদেশি নাগরিক ও ৩ বাংলাদেশি নিহত হন। পরে শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়।
শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে ৩ বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১ জনকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে আটক করে পুলিশ।
৬ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর