আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বামীর কাছে স্ত্রী ডিভোর্স চেয়েছিলেন। স্বামী তা দিতে রাজি নন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে স্যুটকেসে ভরে পুড়িয়ে দিলেন স্বামী।
সোমবার নৃশংস এ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দ্রাবাদে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রূপেশকুমার অগ্রবাল নামের ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশ জানায়, ২০০৮ সালে কঙ্গোতে থাকার সময়ে সিনথিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রূপেশের। এরপর দুজনেই চলে আসেন হায়দ্রাবাদে। তাদের সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু আচমকাই দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা শুরু হয় তৃতীয় এক ব্যক্তিকে ঘিরে। রূপেশ জানতে পারেন, ফ্রান্সের এক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রী সিনথিয়ার ইদানীং বন্ধুত্ব হয়েছে।
বন্ধুত্ব এতটাই যে সুযোগ পেলেই ফেসবুকে তার সঙ্গে চ্যাট করতে বসে পড়েন স্ত্রী। এমনকি ফ্রান্সের ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চেয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান তিনি।
কিন্তু তাতে বিপত্তি আরো বাড়ে। বেঁকে বসেন স্বামী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় জোর কলহ। সোমবারও তেমনই ঘটেছিল।
রূপেশ এবং সিনথিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। এর মধ্যে রূপেশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে সিনথিয়াকে খুন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর মৃতদেহ লোপাট করতে তা টুকরো টুকরো করে কেটে একটি স্যুটকেসে ভরে ফেলে। গাড়িতে সেই স্যুটকেসটা তুলে দেয়।
তারপর মেয়েকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যায় বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলের ধারে।
ছোট্ট মেয়ে গাড়িতেই বসেছিল। আর স্যুটকেসটা নিয়ে রূপেশ তখন জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে ফিরে আসছিলেন।
কিন্তু কোননোভাবে গাড়ি কাদায় ফেঁসে যায়। স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাহায্য চান রূপেশ। গাড়িতে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় তাদের।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় স্ত্রীর মৃতদেহের টুকরোগুলো।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রূপেশ স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার
৬ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম