আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিমের সম্পত্তি-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পেয়ে গেল ওবামা প্রশাসন। কিম জং উনের সঙ্গে নতুন করে আবারও সংঘাতে আমেরিকা। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বিরুদ্ধে প্রথম বারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ওয়াশিংটন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কিমসহ উত্তর কোরিয়ার ১১ জনের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আমেরিকায় কিমের কোনও সম্পদ বা সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ছাড়া, মার্কিন নাগরিকরা কিমসহ অন্যান্যদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না।
আমেরিকা এই প্রথমবারের মতো কিমের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার মারাত্মক লঙ্ঘনের জন্য চূড়ান্ত ভাবে কিম দায়ী বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিমের শাসনাধীন উত্তর কোরিয়ার মানুষের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বাধ্যতামূলক শ্রম এবং নির্যাতন অব্যাহত ভাবে চলছে বলে দাবি করেন মার্কিন সন্ত্রাসবাদ এবং অর্থনৈতিক গোয়েন্দা তৎপরতা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি অ্যাডাম জে. এসজুবিন।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সরকার এখন এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, শত্রুভাবাপন্ন দেশ বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমেরিকা অহরহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে। অথচ খোদ আমেরিকা নাকি নিজেই দেশে-বিদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে মত একাংশের।
৭ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস