আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি সফরে রয়েছেন ইসলাম ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় প্রচারক জাকির নায়েক। চলতি মাসের ১১ তারিখে দেশে ফেরার কথা রয়েছে মুম্বাইয়ের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধানের। ভারতের মাটিতে পা রাখলেই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্রে।
তার ভাষণের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করছিলেন জাকির নায়েক। তার ভাষণে জঙ্গিদের অনুপ্রাণিত হওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন জাকির।
রাজধানী ঢাকার গুলশনের রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার পিছনে জাকির নায়েকের যোগসূত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্তকারীরা। বাংলাদেশের তরফ থেকে ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক এবং তার সংস্থার উপর নজরদারির আবেদন করা হয়।
জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র মেলায় জাকির নায়েক এবং তার সংস্থার উপর তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তদন্তে নেমে জাকির নায়েকের সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাকিস্তানের জামাত উদ দাওয়ার যোগসাজশ খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি সংগঠন জামাত উদ দাওয়ার প্রধান হাফিজ সৈয়দ। যে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী।
জাকির নায়েক বলেছেন, ভারতের সংবাদমাধ্যমে তার ভাষণের একটি অংশ দেখানো হচ্ছে, যেখানে তিনি বলছেন প্রত্যেক মুসলিমেরই সন্ত্রাসবাদী হওয়া উচিত। এটা তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই দেখানো হচ্ছে। তিনি আসলে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভয় দেখায়, সেই ব্যক্তিই সন্ত্রাসবাদী। একজন পুলিশকর্মী ছিনতাইবাজকে ভয় দেখায়। তাই ছিনতাইবাজের কাছে পুলিশই সন্ত্রাসবাদী। তাই সমাজবিরোধীদের কাছে মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী হতে হবে।
জানা যায়, বর্তমানে সৌদি হয়ে দুবাইয়ে রয়েছেন জাকির। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি ভারতে আসতে পারেন বলে খবর। তিনি দেশে ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে। এ বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার জাকির নায়েকের ভাষণের প্রভাব নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
৮ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস