আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবে মদিনা ও জেদ্দা নগরীসহ সোমবার তিনটি স্থানে পৃথক বোমাহামলায় এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন ১৯ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনই পাকিস্তানের নাগরিক। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আটকের খবর জানিয়েছে বিবিসি।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তানি ছাড়া আটক অন্য ৭ সন্দেহভাজন সৌদি নাগরিক। মদিনার মসজিদে নববীর কাছে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় নায়ের মুসলিম হামাদ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ২৬ বছরের ওই যুবক সৌদি নাগরিক এবং তার বিরুদ্ধে অতীতে মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ওই মুখপাত্র আরো জানান, কাতিফে হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন : আবদুল রহমান আল ওমর (২৩), আব্রাহিম আল ওমর (২০) ও আবদুল করিম আল হুসনি (২০)। তবে ওই তিনজনের কেউই সৌদি নাগরিক নয় বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তারা কোন দেশের নাগরিক মুখপাত্র তা উল্লেখ করেননি।
সোমবার বিকেলে মদিনা ও কাতাফে ওই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা দুটো ঘটেছিল। মদিনা হামলায় পাঁচজন প্রাণ হারালেও কাতাফে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার ভোরে জেদ্দা নগরীর মার্কিন কনসুলেটে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল এক ব্যক্তি। তবে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। পরে নিজের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত বোমায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা যান ওই হামলাকারী।
সৌদি মন্ত্রাণালয় জানিয়েছে, জেদ্দায় যে ব্যক্তি হামলা চালিয়েছিল তার নাম আবদুল্লাহ ওয়াকার খান। বয়স ৩০য়ের কোঠায়। সেও একজন পাকিস্তানি নাগরিক। আবদুল্লাহ গত ১২ বছর ধরে স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে সে জেদ্দা শহরে বাস করছিল। সে ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করত।
কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত ওই তিন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে ইসলামিক স্টেট এই হামলা চালিয়েছে।
০৮ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম