শনিবার, ০৯ জুলাই, ২০১৬, ০৩:২১:৩৭

ফের আলোচনায় আইএসের ‘ক্যাপ্টাগন’ ট্যাবলেট

ফের আলোচনায় আইএসের ‘ক্যাপ্টাগন’ ট্যাবলেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সম্প্রতি ইসলামিক স্টেট বা আইএসের হামলার ঘটনা আলোচিত হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাস জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক হামলা চালিয়ে আলোচনায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি। ইরাক-সিরিয়া তো আছেই এর পাশাপাশি তুরস্ক, লিবিয়া, সৌদি আরব সহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে হামলার দায়ভার স্বীকার করেছে তারা। হামলা হয়েছে বাংলাদেশেও। তবে এর দায় স্বীকার করলেও দেশে আইএসের অস্তিত্ব নাকচ করেছে বাংলাদেশ।

আলোচনা হচ্ছে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের সর্ম্পকে। বেশ সচ্ছল পরিবার থেকে আশা ওইসব জঙ্গিরা কীভাবে এই পথে এলো এবং তারা মাদকাসক্ত কিনা, তা নিয়ে আলোচনা বিশ্লেষণ চলছে।

আইএসের নৃশংস হামলা, নির্যাতন ও খুনের আলোচনার সাথে আলোচিত হচ্ছে তাদের যুদ্ধশক্তির উৎস নিয়েও। আগেও আলোচিত হয়েছে। আবারও আলোচনা হচ্ছে।

সিরিয়ার এই জিহাদিরা প্রচণ্ড নেশা সৃষ্টিকারী ছোট একটি বড়ি খেয়ে দিনরাত যুদ্ধ করে। আর ওই বড়ির নাম ক্যাপ্টাগন। এই বড়ি শুধুমাত্র সিরিয়াতেই উৎপাদিত হয়। তবে পাওয়া যায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই। তবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে  এই বড়ি ছড়িয়েছে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চিকিৎসকরা বলছেন, মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার মতো এই ড্রাগের মারাত্মক কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রচণ্ড নেশা সৃষ্টিকারী এই বড়িটি বিক্রি করে পাওয়া কোটি কোটি ডলার চলে যায় যুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার কালো বাজারে। এসব অর্থ দিয়ে জিহাদি যোদ্ধারা নতুন নতুন অস্ত্র কিনে থাকে।

ক্যাপ্টাগন নামের শক্তিশালী এই ড্রাগ খুব দ্রুত কাজ করে এবং এটি খেয়েই সিরিয়ার যোদ্ধারা ঘুম বিশ্রাম ফেলে দিনে রাতে সর্বক্ষণ যুদ্ধ করতে পারছে। এছাড়াও নেশা সৃষ্টিকারী এই বড়ি খাওয়ার কারণেই জিহাদিরা কোনো ধরনের বিচার বিবেচনা ছাড়াই নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালাতে পারছে।

যুদ্ধের কারণে সিরিয়া এখন এই ড্রাগের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশে পরিণত হয়েছে।

ষাটের দশক থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোতে ক্যাপ্টাগন পাওয়া যায়। বিষণ্ণতা কাটাতে তারা এই ওষুধ গ্রহণ করতো। তবে পরে এটি নেশা সৃষ্টিকারী ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করলে বেশিরভাগ দেশেই এটা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এখনও এই ড্রাগ পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়নি।

আগে এই ট্যাবলেট উৎপাদিত হতো লেবাননের বেকা উপত্যকায় আর এখন সেটা হচ্ছে সিরিয়ায়। -চ্যানেল আই
০৯ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে